আওয়ামী লীগ নেতা ও তেজগাঁও কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ আব্দুল হান্নান নিখোঁজের পর যে জিডি হয়েছিল, তার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা জানতে চেয়েছে আদালত।
নিখোঁজ আব্দুল হান্নানের স্ত্রী আফরোজা সুলতানার করা হেবিয়াস কর্পাস রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার হাই কোর্টের বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও মো. ইকবাল কবীরের বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আফরোজা সুলতানার আইনজীবী ব্যারিস্টার শামীম আহমেদ মেহেদী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আব্দুল হান্নান নিখোঁজ হওয়ার পর আফরোজা সুলতানা শেরেবাংলা নগর থানায় যে জিডিটি করেছিলেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ কী ব্যবস্থা নিয়েছে, সে বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার ও শেরেবাংলা নগর থানার ওসিকে প্রতিবেদন দাখিলে করতে বলেছেন আদালত।”
হান্নানের পড়াশোনা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৯৯১ থেকে ১৯৯৪ পর্যন্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন তিনি। এরপর ঢাকায় এসে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ গড়ে তুলতে সক্রিয় হন। তিনি ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম আহ্বায়ক। পরে সহসভাপতিও ছিলেন। ২০১৩ সালে তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদকের পদ পান।
তেজগাঁও কলেজে শিক্ষকতা করতেন হান্নান, উপাধ্যক্ষও হয়েছিলেন। তার স্ত্রী আফরোজা সুলতানাও একই কলেজের শিক্ষক।
কলেজের হোস্টেল সুপারের বাসাটিতে থাকতেন হান্নান। সেই বাসা থেকেই ২০১৫ সালের ৭ ডিসেম্বর প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলেন তিনি। তারপর থেকেই নিখোঁজ। হান্নানের পরিবারের অভিযোগ, জিডি করা হলেও তার খোঁজ বের করতে পুলিশ কোনো তদন্তই করেনি।