“হ্যাঁ, আমাদের সবকিছুই আছে, তবে আমাদের ‘ইন্টারঅপারেবলিটি’ তেমন ভালো না,” বলেন আইসিটি সচিব শীষ হায়দার।
Published : 27 Jan 2025, 05:40 PM
সরকারি বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে আন্তঃসংযোগ নিশ্চিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সহযোগিতায় নতুন প্রকল্প চালু করল সরকার।
সোমবার ঢাকার একটি হোটেলে উদ্বোধন হওয়া এ প্রকল্পের নাম ‘ই-ফেকটিভ গভর্ন্যান্স: বাংলাদেশে ই-গভর্নমেন্ট এবং ডিজিটাল পাবলিক সার্ভিস ত্বরান্বিত করা’।
এ প্রকল্প সম্পর্কে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, “আমরা খুব স্পষ্টভাবে চিহ্নিত করেছি- হ্যাঁ, আমাদের সবকিছুই আছে, তবে আমাদের ‘ইন্টারঅপারেবলিটি’ তেমন ভালো না।
“কোন একটি বিশেষ সফটওয়্যার বা সিস্টেম চালু করল কোন মন্ত্রণালয়, তা কেবল সেই মন্ত্রণালয় ব্যবহার করতে পারে। দুর্ভাগ্যবশত অন্য কোনো মন্ত্রণালয় বা বিভাগের এটি ব্যবহারের ইচ্ছা থাকলেও তারা তা ব্যবহার করতে পারে না।”
নতুন প্রকল্পটির মাধ্যমে সরকারি বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে ‘ইন্টারঅপারেবিলিটি’ নিশ্চিত হবে বলে ভাষ্য আইসিটি সচিব শীষ হায়দারের।
তিনি বলেন, “এই প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা তিনটি ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় মনোযোগ দিব; এর মধ্যে রয়েছে জিটুজি, জিটুসি এবং জিটুই। জিটুজি এর মাধ্যমে আমরা ইন্টারঅপারেবিলিটি অর্জন করব।
“আমাদের দেখতে হবে যে এটি কীভাবে অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে যাতে কেউই পেছনে না থেকে যায়; এটাই এর মূল উদ্দেশ্য। আমাদের সবাইকে একই পথে নিয়ে আসতে হবে।”
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডেলিগশন ইউনিটের প্রধান মিখাল ক্রেজা বলেন, “ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে সহযোগিতার জন্য ইইউয়ের যে কৌশল, সেখানে ডিজিটাল গভর্নেন্সকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা হিসাবে দেখা হয়।”
তিনি বলেন, “এই অংশীদারত্বটি মূলত বাংলাদেশের জন্য যেসব প্রয়োজনীয়তা রয়েছে এবং সেক্ষেত্রে উপযুক্ত সহায়তা কী হতে পারে এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল আমাদের (ইইউ এবং বাংলাদেশ) কমন লক্ষ্য সেসব মূল্যায়ন করে পরিচালিত হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে সরকারি সেবা প্রদানে স্বচ্ছতা, সততা ও জবাবদিহিতা বাড়ানোর জন্য ই-গভর্নেন্সের মাধ্যমে কাজ করা।”
জনপ্রশাসন, নির্বাচন, বিচার ব্যবস্থাসহ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাতে চলমান সংস্কারের কথা তুলে ধরে মিখাল ক্রেজা বলেন, “ডিজিটাল গভর্নেন্সের মাধ্যমে এসব সংস্কার ত্বরান্বিত এবং শক্তিশালী করা এবং তাদের ফলাফল ধরে রাখা এবং বৃদ্ধি করা সম্ভব।”
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার দপ্তরের সচিব মাহমুদুল হোসাইন খান, আইসিটি বিভাগের পলিসি এডভাইজর ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের ই-গভর্ন্যান্স টিম লিডার আর্সেন স্টেপানিয়ান অন্যদের মধ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।