ঈদের প্রধান জামাত ঘিরে জাতীয় ঈদগাহ ময়দান সাজনো হয়েছে; প্রতিকূল আবহাওয়ায় সেখানে জামাত সম্ভব না হলে সকাল ৯টায় বায়তুল মোকাররম মসজিদে ওই জামাত হবে।
Published : 08 Apr 2024, 04:43 PM
ঢাকায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে এবার ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়।
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মাওলানা মোহাম্মদ রুহুল আমিন ইমাম ও মুয়াজ্জিন মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান ক্বারী হিসেবে এই জামাতে দায়িত্ব পালন করবেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, প্রতিকূল আবহাওয়ায় ঈদগাহে জামাত সম্ভব না হলে সকাল ৯টায় বায়তুল মোকাররম মসজিদে প্রধান জামাত হবে।
ঈদের দিন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে বরাবরের মতই পাঁচটি জামাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, সকাল ৭টা, সকাল ৮টা, সকাল ৯টা এবং সকাল ১০টায় যথাক্রমে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ জামাত হবে। পঞ্চম জামাত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।
প্রথম জামাতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা মিজানুর রহমান ইমামতি করবেন; মুকাব্বির থাকবেন মুয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।
দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করবেন হাফেজ মাওলানা মো. এহসানুল হক; মুকাব্বির থাকবেন হাফেজ মো. আতাউর রহমান।
তৃতীয় জামাতে ইমামতি করবেন হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম; মুকাব্বিরের দায়িত্বে থাকবেন খাদেম মো. আব্দুল হাদী।
চতুর্থ জামাতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী ইমামতি করবেন; মুকাব্বিরের দায়িত্ব পালন করবেন বায়তুল মোকাররম মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।
পঞ্চম এবং সবশেষ জামাতে আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন ইমামিত করবেন; আর মুকাব্বির দায়িত্বে থাকবেন বায়তুল মোকাররমের খাদেম মো. রুহুল আমিন।
এই পাঁচ জামাতে কোনো ইমাম অনুপস্থিত থাকলে বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন।
হিজরি শাওয়াল মাসের ১ তারিখে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়। এক মাস সিয়াম সাধনা শেষে এবার মুসলমানদের অন্যতম প্রধান এই ধর্মীয় কবে হচ্ছে তা মঙ্গলবার জানা যাবে। সেদিন সন্ধ্যায় চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা করে ঈদের তারিখ জানাবে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি।
মঙ্গলবার দেশের আকাশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেলে ঈদ হবে বুধবার। আর চাঁদ দেখা না গেলে বুধবার ৩০ রোজা পূর্ণ হবে। সেক্ষেত্রে ঈদ হবে বৃহস্পতিবার।
ঈদের প্রধান জামাত ঘিরে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ডিএসসিসি। সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে এই ময়দানে নামাজ আদায় করে থাকেন রাষ্ট্রপতি ও সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
ডিএসসিসি জানিয়েছে, জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের আয়তন ৩০ হাজার বর্গমিটার। ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের একটি প্যান্ডেল করা হয়েছে। এতে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের নামাজ আদায় করতে পারবেন। এছাড়া প্যান্ডেলের বাইরেও অনেকের নামাজ আদায়ের সুযোগ রয়েছে।