Published : 31 Oct 2023, 06:36 PM
বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে শনিবারের সংঘর্ষ এবং পরবর্তী সহিংসতার ঘটনায় ঢাকার বিভিন্ন থানায় ৩৯টি মামলা হওয়ার কথা জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার কে এন রায় নিয়তি।
তিনি বলেছেন, এসব মামলায় গত তিন দিনে ১১১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে সংঘর্ষের দিন শনিবার গ্রেপ্তার করা হয় ৬৯৬ জনকে। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২০৬ জনকে ধরা হয় মিরপুর বিভাগে; সেদিন পুলিশের লালবাগ বিভাগ গ্রেপ্তার করে ২০৪ জনকে, আর মতিঝিল বিভাগে ধরা পড়েন ৫০ জন।
পুলিশ কর্মকর্তা কে এন রায় জানান, রোববার ঢাকায় মোট ২৫৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যার মধ্যে সর্বোচ্চ ৯৫ জন গ্রেপ্তার হয়েছে মতিঝিল বিভাগে, মিরপুর বিভাগে এ সংখ্যা ৭৩।
সহিংসতার অভিযোগে সোমবার মোট ১৫৮ জনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, এ দিন সর্বোচ্চ ৬৯ জন গ্রেপ্তার হয়েছে ওয়ারী বিভাগে, মতিঝিল বিভাগে এই সংখ্যা ৩০। আর সবচেয়ে কম একজন ধরা পড়েছে উত্তরা বিভাগে।
সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বিএনপি যুগপৎভাবে বিভিন্ন দল ও জোটকে নিয়ে আন্দোলন শুরু করে গত ১২ জুলাই। এরপর থেকে টানা তিন মাসে ঢাকাসহ সারাদেশে রোড মার্চ, পদযাত্রা, গণমিছিল, কালো পতাকা মিছিল, অবস্থান কর্মসূচি, সমাবেশ-বিক্ষোভসহ নানা কর্মসূচি পালন করে।
২৮ অক্টোবর নয়া পল্টনে ছিল বিএনপির মহাসমাবেশ। কিন্তু সমাবেশ শুরুর দেড় ঘণ্টার মধ্যে কাকরাইলে সংঘর্ষ শুরু হয়, পরে তা ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের এলাকায়।
তাতে সমাবেশ পণ্ড হয়ে গেলে হরতাল ডাকে বিএনপি। দেশের বিভিন্ন স্থানে পোড়ানো হয় যানবাহন, সহিংসতায় প্রাণহানিও ঘটে।
রোববার হরতাল শেষে মঙ্গলবার থেকে তিন দিনের অবরোধ ডাকে বিএনপি। তাদের দীর্ঘদিনের মিত্র জামায়াতে ইসলামীও সোমবার একই কর্মসূচি দেয়। এই কয়েক দিনে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
তবে অবরোধের মধ্যেও সারাদেশে পণ্য ও যাত্রী পরিবহন চালু রেখেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি।