গ্রন্থাগার দিবসে নানা আয়োজন

রোববার গ্রন্থাগার অধিদপ্তরের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেন মহাপরিচালক মো. আবুবকর সিদ্দিক।

জনগণকে গ্রন্থাগারমুখী করা, বই পড়ার অভ্যাস বাড়ানো এবং মননশীল সমাজ গঠনের কেন্দ্রবিন্দু ও জনগণের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পাঠাগারের ভূমিকাকে দৃঢ় করার লক্ষ্য নিয়ে উদযাপিত হতে যাচ্ছে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস।

আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সোমবার গ্রন্থাগার দিবস উদযাপন করবে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর।

গ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবুবকর সিদ্দিক রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে এবারের আয়োজন নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।

তিনি জানান, সকাল ১০টায় ঢাকার জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে। এছাড়া রিডিং সোসাইটি গঠনে গ্রন্থাগারের ভূমিকার উপর বিশেষ আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা থাকবে।

এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ঠিক হয়েছে ‘গ্রন্থাগারে বই পড়ি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ি'।

আবুবকর সিদ্দিক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৭ সালের ৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস' হিসেবে ঘোষণা করার পর থেকে প্রতিবছরই ‘জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস’ উদযাপিত হয়।

দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় পর্যায়ের পাশাপাশি জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারগুলোয় ৫ দিনব্যাপী রচনা, চিত্রাঙ্কন ও বইপাঠসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

এছাড়া জেলা প্রশাসন, বাংলা একাডেমি, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র, কবি নজরুল ইন্সটিটিউট, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ গ্রন্থাগার সমিতি(LAB), বাংলাদেশ গ্রন্থাগারিক ও তথ্যায়নবিদ সমিতি (BALID), বেসরকারি গণগ্রন্থাগার সমিতি, বিভিন্ন পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরির পেশাজীবী, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ব্র্যাকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান একযোগে দিবসটি পালন করবে।

ঢাকায় কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ। বিশেষ অতিথি থাকবেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ইমরুল চৌধুরী, আর্কাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. সালমা মমতাজ এবং কবি নজরুল ইন্সটিটিউটের নির্বাহী পরিচালক এএফএম হায়াতুল্লাহ।

অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ পাঠ করবেন জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক মিনার মনসুর; আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান।

অনুষ্ঠানের সভাপতি থাকবেন গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জনাব মো. আবুবকর সিদ্দিক।