আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে দেশজুড়ে ‘সম্প্রীতি’র সংগ্রাম’ কর্মসূচি পালন করবে সাংস্কৃতিক জোট।
Published : 13 Dec 2022, 12:03 AM
‘স্পর্ধায় তাড়াব ধেয়ে আসা কালো’ স্লোগানে রাজধানীর নয়টি মঞ্চে ‘বিজয় উৎসব ২০২২’ আয়োজন করতে যাচ্ছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট।
সোমবার বিজয় উৎসবের বিস্তারিত জানাতে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। জোটের নেতারা জানিয়েছেন, সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান রোধ ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে এবারের বিজয় উৎসব।
আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে দেশজুড়ে ‘সম্প্রীতি’র সংগ্রাম’ কর্মসূচি পালন করবে সাংস্কৃতিক জোট।
জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ বলেন, “করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধের কারণে নাজুক বিশ্ব পরিস্থিতিতে পুরো জাতি যেমন ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করার কথা ছিল, তা না করে আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে কোন কোন রাজনৈতিক মহল পরিস্থিতির সকল দায় এককভাবে সরকারের উপর চাপিয়ে দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা এবং রাজনৈতিক ফায়দা লাভে তৎপর হয়েছে। এ অবস্থা কাম্য নয়।”
জোটের সাধারণ সম্পাদক আহ্কাম উল্লাহ্ বলেন, “একাত্তরের ঘাতক-দালাল, পঁচাত্তরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের সদস্যদের হত্যাকারী, ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় চার নেতার হত্যাকারী এবং ২১ অগাস্ট শেখ হাসিনার উপর গ্রেনেড হামলাকারী- একই বাংলাদেশবিরোধী অপশক্তি। তাদের সাথে কোনো আপস করা চলবে না।”
জোটের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি কবি মুহাম্মদ সামাদ বলেন, “অগণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা দখলকারী গোষ্ঠী বারবারই মুক্তিযুদ্ধের বিপরীতে পুরনো পাকিস্তানি ভাবাদর্শে বাংলাদেশকে পরিচালনা করার নীতি ও অপকৌশল নিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় প্রগতিশীল উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে এই অপশক্তিকে আর প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না।”
সংবাদ সম্মেলনে জোটের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ঝুনা চৌধুরী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আহাম্মেদ গিয়াস, আজহারুল হক আজাদসহ জোটের নেতারা।
যেসব মঞ্চে বিজয় উৎসব
মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিজয় উৎসব উদ্বোধন করবেন অভিনয়শিল্পী ফেরদৌসী মজুমদার।
উদ্বোধনী আয়োজনে থাকবে শহীদ বেদীতে পুস্পার্ঘ্য অর্পণ, এক মিনিট নীরবতা পালন, জাতীয় সংগীত ও মুক্তিযুদ্ধের গান, বিজয়ের আবৃত্তি এবং নৃত্যের সাথে বেলুন উড্ডয়ন। দ্বিতীয় পর্বে থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ১৩ থেকে ১৬ ডিসেম্বর, ধানমণ্ডির রবীন্দ্র সরোবর মঞ্চে ১৪ থেকে ১৬ ডিসেম্বর, রায়ের বাজার বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ১৪ থেকে ১৬ ডিসেম্বর, মিরপুর ৬ নম্বর মুকুল ফৌজ মাঠে ১৫ থেকে ১৬ ডিসেম্বর, দনিয়া মাসুদ মঞ্চে ১৪ থেকে ১৬ ডিসেম্বর, পুরান ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্কে ১৯ থেকে ২০ ডিসেম্বর, মতিঝিল টিঅ্যান্ডটি কলোনি মাঠে ১৬ ডিসেম্বর, উত্তরা বঙ্গবন্ধু মুক্তমঞ্চে ১৫ ডিসেম্বর এবং পূর্বাচল জয় বাংলা স্কয়ারে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় উৎসবের অনুষ্ঠান চলবে।
১৫০টির বেশি সংগঠনের সাড়ে ৩ হাজারের বেশি শিল্পী এবারের বিজয় উৎসবে অংশ নেবেন।
এছাড়া সাংস্কৃতিক জোটের সহযোগিতায় বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ ১৫ ও ১৬ ডিসেম্বর কলকাতায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন, ১৭ ডিসেম্বর বেনাপোল ও যশোর এবং ২৩ ডিসেম্বর ঢাকার গুলশানে বিচারপতি সাহাবুদ্দিন পার্কে বিজয় উৎসব উপলক্ষে অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে।