“মোট তিনটি ব্লকের মধ্যে মাঝের ব্লকের হক বেকারি থেকে আগুনের সুত্রপাত,” বলছেন লিটন।
Published : 28 Jan 2024, 04:25 PM
রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট লাগোয়া কাঁচা বাজারে আগুনের ধোঁয়া দেখে প্রথম ৯৯৯ এ ফোন দিয়েছিলেন দোকান মালিক সমিতির অফিস সহকারী মুশফিকুর রহমান লিটন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেছেন, মার্কেটের হক বেকারি থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখে নৈশ প্রহরীরা তাকে খবর দেন।
ওই মার্কেটের ভেতরে পূর্ব ব্লকে দোতালা অফিস কক্ষে থাকেন লিটন। মধ্যরাত পর্যন্ত তিনি জেগেই ছিলেন। রাত ২টার পর ঘুমাতে যান। ভোরের দিকে হঠাৎ দরজায় ধাক্কাধাক্কি শুরু হলে খুলে দেখেন এক নিরাপত্তকর্মী দাঁড়িয়ে।
“সে জানাল, মার্কেটের মাঝের ব্লকের হক বেকারি থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। তারপর ছুটে গিয়ে দেখি ঘটনা সত্য, ধোঁয়ার সাথে আগুন।"
সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসকে ফোন দিয়ে না পেয়ে ৯৯৯ এ ফোন করার কথা জানান লিটন। তিনি বলেন, প্রায় আধাঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ছোট গাড়ি আসে। ততক্ষণে আগুন ছড়িয়ে গেছে।
“মোট তিনটি ব্লকের মধ্যে মাঝের ব্লকের হক বেকারি থেকে আগুনের সুত্রপাত। সেই বেকারি থেকে আগুন এক একটি দোকান পুড়িয়ে ওই ব্লকেরই উত্তর দিকে চোখের সামনে ছড়িয়ে যেতে থাকে।"
উত্তর দিকে সর্বশেষ দোকানগুলোর পরে পশ্চিম ব্লকেও আগুন ছড়িয়ে যায় জানিয়ে অফিস সহকারী লিটন বলেন, “আগুন পূর্ব ব্লকে ছড়াতে পারেনি, পুরোটাই অক্ষত রয়েছে। ওই ব্লকে মাছ, মাংসের দোকান রয়েছে।”
ফায়ার সার্ভিসের গাড়িগুলোতে পর্যাপ্ত পানি ছিল না অভিযোগ করে লিটন বলেন, “ প্রথম যে দুটি গাড়ি আসে তার সাথে আরও যদি বড় গাড়িগুলো আসত, তাহলে ক্ষতির পরিমাণ অনেক কম হত।”
তিনি বলেন, আশপাশের বাড়িগুলোর রিজার্ভ ট্যাংক থেকে পানি সংগ্রহ করে প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালানো হয়। সব মিলিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসতে সময় লেগে যায়।
তবে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশনস) লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাজুল ইসলাম বলছেন, এসব অভিযোগ ‘গৎ বাঁধা’। ফায়ার সার্ভিস খবর পাওয়ার ৯ মিনিটের মাথায় ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।
“এই মার্কেট যে ঝুঁকিপূর্ণ, আগেই জানানো হয়েছিল তাদের। আগুন নিয়ন্ত্রণের প্রাথমিক কোনো সরঞ্জাম এই মার্কেট পাওয়া যায়নি। নিয়ম বহির্ভূত দোকান ঘর করা, অতিরিক্ত বৈদ্যুতিক লোড ব্যবহারসহ বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে এই মার্কেটে। আগুনের পেছনে এই সব সমস্যাগুলো অন্যতম কারণ।”
ঢাকার জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের জানান, ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটির করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে প্রয়োজনীয় সাহায্যের ব্যবস্থা করবে জেলা প্রশাসন।
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)