ভার্চুয়ালিও দেখা যাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর

গ্রামীণফোনের মাইজিপি অ্যাপ ব্যবহার করে এ অভিজ্ঞতা নেওয়া যাচ্ছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Sept 2022, 06:33 PM
Updated : 26 Sept 2022, 06:33 PM

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে দেশের যেকোনো জায়গা থেকে এখন যেকোনো সময় ভার্চুয়ালি ঢুঁ দেওয়া যাচ্ছে।

গ্রামীণফোনের মাইজিপি অ্যাপের মাধ্যমে জাদুঘর ঘুরে দেখার এ সুযোগ তৈরি হয়েছে।

সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে এ সেবা উন্মোচন করা হয়।

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য আসাদুজ্জামান নূর বলেন, “মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে সংরক্ষণ ও এর চেতনাকে সমুন্নত রাখতে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরকে গড়ে তোলা হয়েছিল। এই জাদুঘরের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মসহ সর্বস্তরের মানুষ মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানার সুযোগ পায়।

“যাদের পক্ষে জাদুঘরে আসাটা সবসময় সম্ভব হয়ে ওঠে না, তাদের জন্য এবং তরুণ প্রজন্দের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পৌঁছে দিতে গ্রামীণফোন মাইজিপি অ্যাপে একটি ইন্টারফেস তৈরি করেছে, যার মাধ্যমে দেশের যেকোনো জায়গা থেকে জাদুঘরে ডিজিটালি প্রবেশ করা যাবে এবং মহান মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানা যাবে।”

ভার্চুয়ালি জাদুঘর দেখার মাধ্যমে সরাসরি জাদুঘরে এসে মুক্তিযুদ্ধের অজানা বিভ্ন্নি বিষয় সম্পর্কে জানার আগ্রহ জন্মাবে বলে মনে করেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি সারওয়ার আলী।

“ভার্চুয়াল মিউজিয়াম ফিজিক্যাল মিউজিয়ামের বিকল্প নয়। কিন্তু এই উদ্যোগের মাধ্যমে যারা এই জাদুঘর সম্পর্কে জানতে চান, আমাদের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানতে চান, তারা জানার সুযোগ পাবেন। আমরা তরুণ প্রজন্মকে এই বার্তাটা পৌঁছাতে চাই যে, এই দেশটি কীভাবে স্বাধীন হয়েছে।”

মুক্তিযুদ্ধকে সামনে আনার প্রচেষ্টা খুবই কম উল্লেখ করে বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী সাজ্জাদ আলী জহির বলেন, “গ্রামীণফোনের এই ধরনের উদ্যোগের মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম ডিজিটাল মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধকে জানার সুযোগ পাবে। এই প্রচেষ্টার মাধ্যমে তারা তাদের চেতনা, বিবেককে জাগ্রত করে যদি ইতিহাসের মুখোমুখি হতে পারে, তাহলেও তো আমার মুক্তিযুদ্ধ বেঁচে থাকবে।

“নইলে আজ থেকে ৫০০ বছর পরে ইতিহাসের বইয়ে মুক্তিযুদ্ধ থাকবে একটা মাত্র লাইন হয়ে যে, ১৯৭১ সালে অনেক গণ্ডগোল হয়েছিল, অনেক মানুষ মারা গিয়েছিল। আর কিছুই থাকবে না। আমরা সেই দিন চাই না।”  

অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান বলেন, “মাইজিপি অ্যাপে ভার্চুয়াল অভিজ্ঞতার মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের ইতিহাস জানতে পারবে মানুষ। ইতিহাস থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে তরুণ প্রজন্ম নিজ নিজ জায়গা থেকে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য এগিয়ে আসবে।”