বিএনপি চেয়ারপারসনের ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার গত ২৫ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ওই আবেদন করেন।
Published : 07 Nov 2023, 03:45 PM
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে আবারও আবেদন করেছে তার পরিবার। আইন মন্ত্রণালয় আবেদনটি যাচাই-বাছাই করে দেখেছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
শুক্রবার সন্ধ্যায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে একটি আবেদন আমরা পেয়েছি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সেটা পাঠানো হয়েছে। এখন আইনগত দিকগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে।”
আইন মন্ত্রণালয় কবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে, সে বিষয়ে কিছু বলতে অপরাগতা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।
খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার গত ২৫ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ওই আবেদন করেন। বিএনপি চেয়ারপারসনকে মুক্তি দিয়ে তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর অনুমতি চাওয়া হয় সেখানে। এরপর নিয়ম অনুযায়ী গত বুধবার আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয় মতামতের জন্য।
দুর্নীতি দুই মামলায় দণ্ডিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এখন সরকারের নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্ত আছেন। নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা নেওয়া এবং নির্বাহী আদেশে মুক্ত থাকাকালীন দেশের বাইরে না যাওয়ার শর্তে সাজা স্থগিত করে ২০২০ সালের মার্চে তাকে সাময়িক মুক্তি দেওয়া হয়।
৭৮ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, কিডনি, লিভার জটিলতায় ভুগছেন। গত ৯ অগাস্ট থেকে তিনি বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার জন্য গঠিন মেডিকেল বোর্ডের বরাতে বিএনপি নেতারা বলে আসছেন, তাদের নেত্রীর অবস্থা ‘সঙ্কটজনক’। লিভার প্রতিস্থাপনের জন্য তাকে দ্রুত বিদেশে পাঠানো ‘জরুরি’।
সর্বশেষ গত ১২ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরো ৬ মাস বৃদ্ধি করে সরকার। তখনও তাকে বিদেশে পাঠানোর অনুমতি চেয়েছিল তার পরিবার। কিন্তু সরকার সে আবেদনে সাড়া দেয়নি।
আইনমন্ত্রী বলে আসছেন, যে শর্তে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করা হয়েছে, তাতে তার বিদেশে যাওয়ার সুযোগ নেই। আইনগতভাবে সরকারেরও এ বিষয়ে কিছু করার নেই। তারপরও তাকে বিদেশে নিতে চাইলে কারাগারে ফিরে গিয়ে তাকে নতুন করে আবেদন করতে হবে।
সরকারের এ অবস্থানের সমালোচনা করে বিএনপি নেতারা বলে আসছেন, তাদের নেত্রীর ‘কিছু হলে’ তার দায় সরকারকেই নিতে হবে। এর মধ্যে তাকে বিদেশে পাঠাতে ৪৮ ঘণ্টা সময়ও বেঁধে দিয়েছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেই সময় পেরিয়ে গেলেও সরকারের তরফ থেকে কোনো ইতিবাচক সাড়া মেলেনি।
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)