টাকার অংকে তাদের বেতনে কোনো পরিবর্তন আসছে না। কেবল ‘বিচারপতিদের সমান’ বেতন দেওয়ার কথা না বলে নতুন আইনে টাকার অংকটা বলা থাকছে।
Published : 20 May 2024, 07:25 PM
বিচারপতিদের বেতন কাঠামোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নির্বাচন কমিশনারদের বেতন নির্ধারণের যে নিয়ম এতদিন চলে আসছিল, তা পরিবর্তন করে সুনির্দিষ্ট বেতন কাঠামো ঠিক করা হচ্ছে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার (পরিতোষিক ও বিশেষাধিকার) আইন-২০২৪ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে।
চলতি বছরের ১৭ এপ্রিল বিলটি নীতিগত অনুমোদন দেওয়ার পর সোমবারের বৈঠকে তা চূড়ান্ত অনুমোদন পেল।
বর্তমানে প্রধান নির্বাচন কমিনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের বেতন ভাতা দেওয়া হয় ১৯৮৩ সালের আইন অনুসারে। উচ্চ আদালতের নির্দেশের প্রেক্ষিতে সামরিক শাসনামলে তৈরি হওয়া আইনগুলো পরিবর্তনের যে নির্দেশনা আছে, তার আলোকে নতুন আইনটি করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, “আগে যে আইনটা ছিল, এবার সেই আইনকে অনুসরণ করা হয়েছে। আগের আইনে ছিল প্রধান নির্বাচন কমিশনার আপিল বিভাগের বিচারপতিদের সমান বেতন ও ভাতাদি পাবেন। আর নির্বাচন কমিশনার হাই কোর্ট ডিভিশনের বিচারপতিদের সমান বেতন ভাতাদি পাবেন। এবারের আইনে সেটা না লিখে বেতন ভাতাটি নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।”
অর্থাৎ, টাকার অংকে তাদের বেতনে কোনো পরিবর্তন আসছে না। ‘বিচারপতিদের সমান’ বেতন দেওয়ার কথা না বলে নতুন আইনে টাকার অংকটাই বলা থাকছে।
এ আইন পাস হলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার আগের মতই প্রতিমাসে এক লাখ পাঁচ হাজার টাকা বেতন পাবেন। আর নির্বাচন কমিশনার পাবেন ৯৫ হাজার টাকা।
বিশেষ ভাতা হিসাবে তারা মূল বেতনের ৫০ শতাংশ পাবেন। তারা উৎসব ভাতা, বাংলা নববর্ষের ভাতা পাবেন, আবাসন সুবিধা পাবেন, যানবাহন সুবিধা পাবেন, টেলিফোন সুবিধা, কুক ভাতা, সিকিউরিটি ভাতা পাবেন। আট হাজার টাকা করে নিয়ামক ভাতা পাবেন। চিকিৎসা সুবিধা আগে যেভাবে পেতেন সেভাবেই পাবেন বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
নতুন এই আইনের ফলে নির্বাচন কমিশনারদের মর্যাদার পরিবর্তন এল কিনা, সেই প্রশ্নে সচিব বলেন, “তাদের মর্যাদার বিষয়টি মূল আইন অনুযায়ী থাকবে, এ আইনে শুধু বেতন ভাতার প্রসঙ্গ আলোচনা করা হয়েছে। আগে যে পরিমাণ বেতন ভাতা পেতেন, এখন সেভাবেই পাবেন।
“আগের ভাষাটা ছিল আপিল বিভাগের বিচারপতির সমান বেতন পাইবেন। এখনকার ভাষা হল বেতন এক লাখ পাঁচ হাজার টাকা। আপিল বিভাগের বিচারপতিরাও এক লাখ পাঁচ হাজার টাকা পান। আইনের ভাষা আগে ইংরেজি ছিল, এখন বাংলা করা হয়েছে।”