মো. সাহাবুদ্দিনকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণা করে চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন।
Published : 07 Dec 2023, 11:13 PM
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচিত করার প্রক্রিয়া ও নির্বাচন কমিশনের গেজেট প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট আবেদন খারিজের আদেশ বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ। সেই সঙ্গে রিটকারী আইনজীবীর ১ লাখ টাকা জরিমানাও বহাল রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ছয় সদস্যের আপিল বেঞ্চ রিটকারী আইনজীবী এম এ আজিজ খানের রিভিউ আবেদন খারিজ করে দেয়।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং গেজেট প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ৭ মার্চ হাই কোর্টে রিট করেন এম এ আজিজ। রিটে নির্বাচন কমিশন ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে বিবাদী করা হয়।
ওইদিন অ্যাডভোকেট এম এ আজিজ খান সাংবাদিকদের বলেন, যে প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করা হয়েছে এবং পরবর্তীতে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে, তা চ্যালেঞ্জ করেই রিটটি করা হয়েছে।
গত ১২ মার্চ হাই কোর্টে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের বেঞ্চ এ রিট আবেদনের শুনানি করতে বিব্রতবোধ করেন। পরে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবির লিটন এ আবেদনের শুনানি করেন।
১৫ মার্চ বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবির লিটনের হাই কোর্ট বেঞ্চ রিট আবেদনের শুনানি শেষে রিট আবেদন খারিজ করে দেয়।
এরপর ২১ মার্চ রিট আবেদন খারিজের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন এম এ আজিজ খান।
রাষ্ট্রপতি নিয়োগ নিয়ে রিট খারিজের আদেশ বহাল, আইনজীবীকে জরিমানা
গত ১৮ মে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আট বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বিভাগ রিটকারীর আপিল আবেদন খারিজ করে। ফলে হাই কোর্টের দেওয়া রায় বহাল থাকে। একই সঙ্গে রাষ্ট্রপতি নিয়োগের বিষয়ে অযৌক্তিক রিট করে আদালতের সময় নষ্ট করায় আইনজীবী এম এ আজিজ খানকে এক লাখ টাকা জরিমানা করে আপিল বিভাগ।
আপিল বিভাগের এ রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করেছিলেন এম এ আজিজ খান।
অবসরপ্রাপ্ত বিচারক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিনকে দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণা করে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রজ্ঞাপন জারি নির্বাচন কমিশন। ২৩ এপ্রিল সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের মেয়াদ শেষ হলে তিনি স্থলাভিষিক্ত হন।