রাজধানীতে ‘পুরুষের চেয়ে নারী ক্রেতা বেশি’, বলছে মন্ত্রণালয়।
Published : 08 Mar 2025, 05:40 PM
‘সুলভ মূল্যে’ পণ্য বিক্রি কার্যক্রমের আওতায় রমজান মাসের প্রথম ছয় দিনে রাজধানীসহ সারাদেশে প্রায় ছয় কোটি টাকার গরু, খাসি, মুরগির মাংস দুধ ও ডিম বিক্রি করার তথ্য দিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
শনিবার মন্ত্রণালয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলেছে, রোজার প্রথম দিন থেকে শুক্রবার পর্যন্ত প্রতিদিন প্রায় কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছে।
মন্ত্রণালয় বলেছে, এই কার্যক্রমে রাজধানীতে ‘পুরুষের চেয়ে নারী ক্রেতা বেশি’।
এদিন সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাব চত্বরে প্রেস ক্লাব সদস্যদের জন্য ‘সুলভ মূল্যে’ দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রির কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
সাংবাদিকদের শীর্ষ এই সংগঠনের সদস্যদের জন্য এই কার্যক্রম উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নীলুফা আক্তার।
সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবু সুফিয়ান ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজ।
এ সময় অতিরিক্ত সচিব নীলুফা আক্তার বলেন, দেশের মানুষের মাঝে ‘সুলভ মূল্যে’ প্রোটিন জাতীয় খাদ্য পণ্যের সরবরাহ বাড়াতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এই কার্যক্রম হাতে নিয়েছে।
“এসব পণ্য কিনতে সারাদেশের নারীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ দেখা যাচ্ছে।”
এ কার্যক্রমের মাধ্যমে বাজারে পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু সুফিয়ান বলেন, শুধু রাজধানীতে প্রতিদিন ২৫টি স্থানে এই কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এছাড়া ঢাকার বাইরে প্রায় হাজার খানেক স্থানে পণ্য বিক্রি করা হয়েছে।
শুক্রবার পর্যন্ত রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মোট প্রায় ছয় কোটি টাকার ডিম, দুধ, ড্রেসড ব্রয়লার, গরুর মাংস, খাসির মাংস বিক্রি হয়।
শুক্রবার পর্যন্ত রাজধানীর ৫২ হাজার ৪৫৩ জন ক্রেতা পণ্য কিনেছেন। এর মধ্যে নারী ক্রেতা ছিলেন ২৭ হাজার ৩০৮ জন। পুরুষ ক্রেতা ২৫ হাজার ১৪৫ জন।
সরকারের ‘সুলভ মূল্যে’ পণ্য বিক্রি কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রতিকেজি ড্রেসড ব্রয়লার মুরগির মাংস ২৫০ টাকা, প্রতি লিটার পাস্তুরিত দুধ ৮০ টাকা, প্রতি ডজন খামারের ডিম ১১৪ টাকা এবং প্রতিকেজি গরুর মাংস ৬৫০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
রমজান উপলক্ষে ২৮ ফেব্রুয়ারি এই কার্যক্রম উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
এই কার্যক্রমে সহযোগিতা করছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি), বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাষ্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি), বাংলাদেশ ডেইরি অ্যান্ড ফ্যাটেনিং ফারমার্স এসোসিয়েশন (বিডিএফএফএ) এবং দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাত প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য অংশীজন ও প্রান্তিক খামারিরা।