‘লিঙ্গ বৈচিত্র্যের মানুষদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ উদ্বেগের’

লিঙ্গ বৈচিত্র্যের মানুষদের অধিকার সুরক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি তাদের জন্য যারা ‘হুমকি’, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে নারী নিরাপত্তা জোট ও আমরাই পারি জোট।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Jan 2024, 03:47 PM
Updated : 26 Jan 2024, 03:47 PM

লিঙ্গ বৈচিত্র্যের (ট্রান্সজেন্ডার, হিজড়া এবং অন্যান্য) মানুষদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নারী নিরাপত্তা জোট ও আমরাই পারি জোট।

শুক্রবার এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠন দুটি বলেছে, “পাঠ্যপুস্তক ছিঁড়ে ফেলার ঘটনাই প্রমাণ করে, লিঙ্গ বৈচিত্র্যের মানুষেরা বাংলাদেশে নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে বসবাস করছে । এই ঘটনা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শের পরিপন্থি।”

লিঙ্গ বৈচিত্র্যের মানুষদের অধিকার সুরক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি তাদের জন্য যারা ‘হুমকি’, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।

সেখানে বলা হয়েছে, “লিঙ্গ বৈচিত্র্যের মানুষদের নিয়ে আপত্তিকর, হিংসাত্মক, সহিংস মন্তব্য, বক্তব্য, ভিডিও প্রকাশ ও প্রচারের মাধ্যমে তাদের প্রতি মুহূর্তের জীবন চরম অনিরাপদ, ভয়ার্ত আর সংকটময় হয়ে উঠছে। অথচ বাংলাদেশের সংবিধান মানুষের বৈচিত্র্যতাকে স্বীকৃতি দিয়েছে।”

পাঠ্যপুস্তকে লিঙ্গ বৈচিত্র্যের মানুষদের তথ্য অন্তর্ভুক্তির জন্য সরকারের প্রশংসও করা হয়েছে বিবৃতিতে।

গত ১৯ জানুয়ারি রাজধানীতে নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে এক আলোচনায় সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বই থেকে ‘শরীফার গল্প’ শিরোনামের একটি পাঠ ছিঁড়ে ফেলেন আসিফ মাহতাব, যিনি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের খণ্ডকালীন শিক্ষক ছিলেন।

ওই গল্পে হিজাড়াদের জীবনের কথা বলা হয়েছে। তবে আসিফ মাহতাবের অভিযোগ, ওই গল্পের মাধ্যমে ‘সমকামিতার উসকানি’দেওয়া হয়েছে।

তার বই ছেঁড়ার ভিডিও ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর বিষয়টি নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক চলছে। পাঠ্যবই রচনার সঙ্গে জড়িতরা বলছেন, একটি গোষ্ঠী না বুঝে পাঠ্যবইয়ের বিরোধিতা করছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে ‘শরীফার গল্প’ পর্যালোচনায় পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি করেছে। ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুর রশীদকে দেওয়া হয়েছে কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্ব।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্নর কফিল উদ্দীন সরকার, এনসিটিবির সদস্য মোহাম্মদ মশিউজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইআরের পরিচালক অধ্যাপক আব্দুল হালিম এবং ঢাকা আলীয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ অধ্যাপক আব্দুর রশিদ।