সংরক্ষিত বনে নয়, বাফুফের টেকনিক্যাল সেন্টার হবে ‘বিকল্প’ স্থানে

সংরক্ষিত বনের পরিবর্তে রামুর ধলিরছড়ায় ১৯.১ একর পরিত্যক্ত জমিতে সেন্টারটি স্থাপন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে কক্সবাজারের রামুতে সংরক্ষিত বনে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) টেকনিক্যাল সেন্টার নির্মাণের যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, সেখান থেকে সরে এসেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

পরিবেশ মন্ত্রণালয় রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, রামুর সংরক্ষিত বনের ২০ একর জায়গার পরিবর্তে রামুর ধলিরছড়ায় ১৯.১ একর পরিত্যক্ত জমিতে সেন্টারটি স্থাপন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে।

ফুটবলের বিশ্ব সংস্থা ফিফার অর্থায়নে বাফুফের এই 'টেকনিক্যাল সেন্টার' নির্মাণের জন্য খুনিয়াপালং মৌজার ২৫ একর ভূমি থেকে ২০ একর সংরক্ষিত বনভূমি অবমুক্ত (ডি-রিজার্ভ) করার আদেশ বাতিলের অনুরোধ জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে একটি সারসংক্ষেপ পাঠিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক এবং ফুটবল ফেডারেশনকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে রোববার চিঠি দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওই সংরক্ষিত বনের বিকল্প কোনো স্থানে বাফুফের টেকনিক্যাল সেন্টার নির্মাণের জন্য পরিবেশ উপদেষ্টা যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টাকে চিঠি দিলে তাৎক্ষণিকভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।

৪৭১০ দশমিক ৬৪ একরের সংরক্ষিত ওই পাহাড়ি বনভূমির স্থানে বিভিন্ন সময়ে বাগান এবং সামাজিক বনায়ন করা হয়েছে। বাফুফের টেকনিক্যাল সেন্টার নির্মাণ হলে এশিয়ান বন্য হাতির বিচরণক্ষেত্র, বন, বন্যপ্রাণী এবং জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হবে। পরিবেশ ও প্রতিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

এ কারণে সেখানে বাফুফের টেকনিক্যাল সেন্টার নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হলে পরিবেশবাদী, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে নিবেদিত ব্যক্তি ও সংস্থা, সাধারণ মানুষ প্রতিবাদে শামিল হয়েছিলেন।