সুদূরপ্রসারী ইতিবাচক প্রভাব তৈরি হবে বলে মনে করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি।
Published : 15 Dec 2024, 01:36 AM
রাজধানীর ধানমন্ডি ২৭ নম্বরে ‘বেঙ্গল বই’ ক্যাফে। বিকালে ক্যাফের খোলা চত্বরে পা রাখতেই দেখা গেল টেবিলের সারি; প্রায় চেয়ারেই মানুষ বসা; কেউ কেউ বই পড়ছেন; কেউ কেউ মেতেছেন আড্ডায়, কেউ কেউ আলোচনায়; সঙ্গে চা-নাস্তাও মিলছে।
চত্বর থেকে ‘বিপণন কেন্দ্রের’ ভেতরে গিয়েও চোখে পড়ল প্রায় একই চিত্র।
বেঙ্গল বইয়ের কর্মীরা বললেন, এমন চিত্র প্রায় প্রতিদিনই দেখা যায়। বইপ্রেমীদের আগ্রহের কারণে এখন সকাল ১০টা থেকেই খোলা থাকছে বেঙ্গল বই; বন্ধ হয় রাত ৯টায়।
বেঙ্গল বইয়ের অপারেশন ম্যানেজার আখতার হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা কিছুদিন আগে একটা হিসাব করেছিলাম, তাতে দেখা গেছে, প্রতিদিন হাজারের বেশি মানুষ আমাদের এখানে আসেন।”
‘বেঙ্গল বই’ মূলত বিপণন কেন্দ্র। তবে এখানে নানা পদের খাবারও রয়েছে। খাবার খেতে খেতে দীর্ঘ সময় আড্ডা দিতে আসেন অনেকে। এদের কেউ কেউ বইও কেনেন বলে জানান আখতার হোসেন।
“আমাদের এখানে সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা আসেন, বই পড়েন। আর বিকালের পর থেকে কর্মজীবী মানুষের ভিড় হয়।”
বেঙ্গল বইয়ে আড্ডা দিচ্ছিলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাবিহা আনজুম, লুমিয়া আহমেদ, রাসেল সরকার ও কৃষ্ণ চন্দ। সাবিহা আনজুম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এটি একই সঙ্গে রেস্তোরাঁ, আবার বইয়ের দোকান।
“এটা ভালো চিন্তা। শুধু বই বিক্রি করে ব্যবসা করাটা তো কঠিন। অন্যান্য রেস্তোরাঁয় শুধু খেতেই যাওয়া হয়। এখানে খাওয়ার পাশাপাশি আড্ডা দেওয়া যাচ্ছে। আড্ডার পর প্রিয় কিছু বই পড়ছি; পছন্দ হলে কিনে নিচ্ছি। ভালোই।”
ক্যাফের পরিবেশ তৈরি করে এমন বই বিপণনের ভাবনাটি সম্প্রতি বাংলাদেশেও বিস্তৃত হয়েছে। ঢাকার বাইরে রাজশাহী, সিলেট ও চট্টগ্রামেও গড়ে উঠেছে বুক ক্যাফে।
বিষয়টিকে বেশ ইতিবাচক হিসিবে দেখছেন বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “শহরে অনেক বুক ক্যাফে হচ্ছে, এটা আশা জাগানিয়া ব্যাপার।
“বিদেশে যেমন দীর্ঘ সময় কফি শপে বসে আড্ডা দেওয়া যায়, বই পড়া যায়; আমাদের দেশেও এটা হচ্ছে। মানুষ এসব ক্যাফেতে গিয়ে আড্ডা দিচ্ছেন; বই পড়ছেন। এটা আনন্দের। এর একটা সুদূরপ্রসারী ইতিবাচক প্রভাব তৈরি হবে বলে মনে করি।”
রাজধানীর আরেক বুক ক্যাফে ‘বাতিঘর’। বাংলামোটরের ময়মনসিংহ রোডের এ বই বিপণন কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেল, একটি টেবিলে বসে চার তরুণ বই পড়ছেন।
তাদের মধ্যে জুলহাস আবেদীন নামের একজন বললেন, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন। প্রায়ই বাতিঘরে আসেন বই পড়তে। জুলহাসের সঙ্গে যখন কথা হচ্ছিল, পাশেই কফি হাতে আড্ডায় মেতেছিলেন আরও বেশ কয়েকজন। কেউ কেউ বই হাতে নিয়ে ছবিও তুলছিলেন।
চা-কফির আড্ডার সঙ্গে বইয়ের পৃষ্ঠায় চোখ রাখার এমন দৃশ্য কেবল ‘বেঙ্গল বই’ কিংবা ‘বাতিঘর’ নয়, চোখে পড়বে বাতিঘর, প্রথমা ও ঋদ্ধিসহ আরও কয়েকটি বুক ক্যাফেতে। এসব বিপণন কেন্দ্রে ‘ছোটখাটো’ সাংস্কৃতিক আয়োজনও থাকে।
হাজারো মানুষের আনাগোনা, বইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক কতটা?
খাওয়ার জন্য বেশি মানুষ আসেন, নাকি বই পড়তে? এমন প্রশ্নে বেঙ্গল বইয়ের আখতার হোসেন বলেন, “লোকজন খেতে খেতে আড্ডা দেন। তাদের কেউ কেউ বই পড়েন। সবাই যে প্রতিদিন বই কেনেন, তা তো নয়। তবে বই বিক্রি সন্তোষজনক। বেঙ্গল বই তো মূলত বিপণন কেন্দ্র।”
বাতিঘরের স্বত্ত্বাধিকারী দীপঙ্কর দাশ বলেন, “আমাদের বাতিঘরে চা-কফির ব্যবস্থা আছে। ইচ্ছা করেই ভারি খাবারের আইটেম বাড়ানো হয়নি। আমরা চেয়েছি বইয়ের জায়গাটা যেন রেস্তোরাঁয় চাপা না পড়ে।”
চট্টগ্রামে একটি বইয়ের দোকান থেকে যাত্রা শুরু বাতিঘরের। পরে ঢাকার বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সপ্তম তলায় একটি ‘নান্দনিক’ শাখা চালু করা হয়। এখন ঢাকার বাংলাবাজার, আজিজ সুপার মার্কেট, রাজশাহী, সিলেট এবং চট্টগ্রামে ছয়টি শাখা আছে, যার মধ্যে চারটিতেই রয়েছে ক্যাফের সুবিধা।
দীপঙ্কর দাশ বলেন, “লোকজন বই কিনছেন, গেলো জুলাই-অগাস্ট মাসে বই বিক্রি কিছু কম হয়েছে। তবে এখন স্বাভাবিক পর্যায়ে আসছে। আশা করি সামনের দিনগুলোয় ভালো কিছু হবে।”
সম্প্রতি মিরপুরে যাত্রা শুরু করেছে ‘ঋদ্ধি’ নামে একটি বুক ক্যাফে। মিরপুর ১১ নম্বরের মেট্রো স্টেশনে নেমে পূরবী সিনেমা হলের উল্টোদিকে যেতে হবে। সেখানে মূল সড়কের পূর্ব পাশের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের (পুরাতন ভবন) পেছনেই এই বুক ক্যাফের অবস্থান।
তিন তলার একটি বাড়িকে নানা আলপনায় সাজানো হয়েছে। এর তৃতীয় তলায় বুক ক্যাফেটি। আছে হলরুম। বিভিন্ন প্রদর্শনী, উৎসব কিংবা মেলা আয়োজন হয় এখানে।
নিচ তলার পুরোটা রাখা হয়েছে পড়া ও খাবার জায়গা হিসেবে। দ্বিতীয় তলায় লাইব্রেরি ও আর্কাইভ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলামের জন্য আলাদা দুটি কর্নার রয়েছে। লাইব্রেরির একটি অংশে রয়েছে কিডস জোন।
ঋদ্ধি বুক ক্যাফের ‘ডেটা এন্ট্রি অপারেটর’ নাঈমুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের যে লাইব্রেরি আছে, তাতে প্রতিদিন পাঁচ শতাধিক পাঠক আসেন, বই পড়েন।
“এখন তো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার সময় চলছে। তবুও তিন শতাধিক পাঠক আসেন। আর ক্যাফে, লাইব্রেরি, মিলনায়তনে অনুষ্ঠানসহ সব মিলিয়ে প্রতিদিন হাজারের বেশি মানুষ আসেন আমাদের এখানে।”
ঋদ্ধি বুক ক্যাফে সপ্তাহের সাত দিন সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকে বলে জানান নাঈমুর রহমান।
২০২১ সালের ১১ নভেম্বর কার্যক্রম শুরু করে প্রথমা বুক ক্যাফে। মাদানি এভিনিউয়ের ঢাকা ইউনাইটেড সিটির শেফস টেবিল প্রাঙ্গণে এই ক্যাফের অবস্থান। বই পড়া ও বই কেনার সঙ্গে রয়েছে হাল্কা স্ন্যাক্সের ব্যবস্থা। পাঠকদের জন্য প্রথমা বুক ক্যাফে খোলা থাকে বিকাল ৪টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত।
প্রথমার ব্যবস্থাপক হুমায়ূন কবীর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের বিক্রয় কেন্দ্র আছে চারটা। এর মধ্যে দুটি হচ্ছে বুক ক্যাফে।”
এখন বইয়ের বাজার কিছুটা খারাপ যাচ্ছে মন্তব্য করে হুমায়ূন কবীর বলেন, “বাজারে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির নেতিবাচক প্রভাব বইয়ের বাজারেও আছে। লোকজন আড্ডা দেওয়ার সময় পাচ্ছেন না। আবার প্রযুক্তির প্রভাবেও আড্ডা কমে যাচ্ছে।”
শান্তিনগর মোড়ের পাশেই পাঞ্জেরী বুক শপ; পিবিএস নামেও পরিচিত। ২০১০ সালে যাত্রা শুরু করে এই বুক শপ। এখানে শিশু কর্নারসহ বই নিয়ে আড্ডা দেয়ার সুযোগ রয়েছে। আছে থ্রিডি থিয়েটার এবং মিউজিক ক্যাফে।
ঢাকায় পিবিএস-এর তিনটি শাখা। এগুলোর অবস্থান শান্তিনগর, উত্তরা ও ধানমণ্ডিতে। সপ্তাহের সাত দিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকে পিবিএস।
শাহবাগে বই পড়ুয়াদের কাছে পাঠক সমাবেশ বেশ পরিচিত। শাহবাগ মোড়ের জাতীয় জাদুঘর থেকে কাঁটাবনের দিকে কিছুটা এগোলেই আজিজ সুপার মার্কেটের উল্টো দিকে এর অবস্থান। এছাড়া কাঁটাবনের এলিফ্যান্ট রোডের ২৭৮/৩ ঠিকানায়ও একটি শাখা রয়েছে তাদের।
শাহবাগে প্রায় ছয় হাজার বর্গ ফুটের এই জায়গায় লাইব্রেরি ছাড়াও রয়েছে ‘সাইলেন্ট রিডিং রুম’ ও ক্যাফে। খোলা থাকে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।
এছাড়া গুলশান এলাকার বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদ পার্কে ‘বুকওয়ার্ম বাংলাদেশ’ এবং বনানীর ‘বুকএন্ড’ ক্যাফেও পরিচিতি পাচ্ছে।
‘দীপনপুর’ বন্ধ, পরিসর কমেছে ‘কবিতা ক্যাফের’
কাঁটাবন মোড়ে পাশাপাশি দুটি বুক ক্যাফে। একটির নাম ‘দীপনপুর’; আরেকটি ‘কবিতা ক্যাফে’। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, ‘দীপনপুর’ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। আর ‘কবিতা ক্যাফে’ পাশের ভবনের ছোট্ট একটি কক্ষে স্থানান্তর হয়েছে।
২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটে জাগৃতি প্রকাশনীর কার্যালয়ে উগ্রবাদীদের হামলায় নিহত হন প্রকাশক দীপন। দীপনের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী ডা. রাজিয়া রহমান জলি এগিয়ে আসেন স্বামীর প্রকাশনা সামলাতে।
জাগৃতির হাল ধরেন তিনি; পাশাপাশি দীপনের স্মৃতি-চেতনা ধরে রাখতে প্রতিষ্ঠা করেন ভিন্নধর্মী বুকশপ ক্যাফে ‘দীপনপুর’।
২০১৭ সালে প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপনের ৪৫তম জন্মদিনে যাত্রা শুরু করে ‘দীপনপুর’। কিন্তু ২০২১ সালে এটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
রাজিয়া রহমান জলি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মূলত কোভিডের ধাক্কাটা আমরা আর্থিকভাবে সামলাতে পারিনি। জায়গাটি যেহেতু ভাড়া নেওয়া ছিল; অনেক টাকা ভাড়া দিতে হয়েছে কোভিডের সময়টায়।
“পরে আমরা ‘দীপনপুর’ বন্ধ করে দিয়েছি। আর কাঁটাবনের কনকর্ড টাওয়ারে ‘জাগৃতি’ প্রকাশনীর একটি অফিস নিয়েছি।”
বুক ক্যাফে ঢাকায় কতটা ব্যবসাসফল— এমন প্রশ্নে রাজিয়া রহমান বলেন, “যদি নিজস্ব জায়গা থাকে, তবে বুক ক্যাফে চালানো সহজ; নইলে একটু কঠিনই। কারণ দুই-তিন বছরে জায়গাটি পরিচিতি পাওয়ার পর নানা কারণে সেটি ছেড়ে দিতে হয়। আর বই তো খুব বেশি লাভজনক ব্যবসা নয়।”
কাঁটাবনে গিয়ে দেখা যায়, কবিতা ক্যাফের জায়গাটিতে ‘টু-লেট’ ঝুলছে। এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক নাহিদা আশরাফী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এই জায়গা তো আমরা ভাড়া নিয়ে কবিতা ক্যাফে করেছিলাম। সেই ভাড়ার চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে।
“আমরা এখন নতুন একটি জায়গা খুঁজছি। পাশের ভবনে ছোট্ট একটি কক্ষে অস্থায়ীভাবে কবিতা ক্যাফে আছে। নতুন জায়গা পেলে সেটি আবার বড় পরিসরে শুরু হবে।”
নাহিদা আশরাফী বলেন, “আমার ‘জলধি’ নামে যে প্রকাশনী আছে, সেখান থেকেই ‘কবিতা ক্যাফে’ পরিচালনা করছি। নিজস্ব জায়গা না থাকলে এ ব্যবসা কিছুটা কঠিন।”
রাজনৈতিক বইয়ে আগ্রহ বাড়ছে পাঠকের
ঢাকার বুক ক্যাফেগুলোতে কথা বলে জানা যায়, রাজনৈতিক বইয়ের প্রতি সম্প্রতি মানুষের আগ্রহ বেড়েছে। আসন্ন একুশে গ্রন্থমেলায় রাজনৈতিক বই প্রকাশের প্রস্তুতিও নিচ্ছেন প্রকাশকরা।
বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক লুভা নাহিদ চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ইতিহাস ও রাজনৈতিক বই বিক্রি বেড়েছে। এটা কিন্তু ইতিবাচক।
“বইয়ের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে; লোকজনের জানার আগ্রহটা বেড়েছে। বাংলাদেশ বিষয়াবলীর পাশাপাশি আগ্রহ বেড়েছে ইতিহাস ও সমাজতত্ত্ব নিয়েও।”
প্রথমার ব্যবস্থাপক হুমায়ূন কবীর ও বাতিঘরের দীপঙ্কর দাশও একই রকম তথ্য দিলেন।
হুমায়ূন কবীর বলেন, “আগে তো উপন্যাস বেশি বিক্রি হত। কিন্তু এখন রাজনৈতিক বিশ্লেষণধর্মী বইয়ের বিক্রি বেশি। আমরা আসছে বইমেলায় ২৪-এর গণঅভ্যুথান নিয়ে কিছু বই প্রকাশের পরিকল্পনা করেছি।”
বাতিঘরের দীপঙ্কর দাশ বলেন, “গেল কয়েক বছর ধরেই রাজনৈতিক বই নিয়ে পাঠকের আগ্রহ দেখছি। আমাদের দেশের লোকজন হয়তো রাজনৈতিক সচেতন হচ্ছে।”
পাঠক এখন রাজনৈতিক বই বেশি কিনছেন বা পড়ছেন এমন তথ্য জানালে বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, “তা থেকে বলা মুশকিল যে লোকজন রাজনীতি নিয়ে সচেতন হয়ে যাচ্ছে। তবে ধারাবাহিকতা চলতে থাকলে এর প্রভাব আমাদের সমাজ কাঠামো বা রাজনৈতিক সংস্কারে পড়বে। তবে এটা ইতিবাচক।”