বাসে আগুন দিয়ে হত্যা: যুব ও ছাত্রদলের নেতাসহ ৩ জন গ্রেপ্তার

সিটিটিসি প্রধান বলেন, “ ৭ জানুযারির নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টায় তারা এ এই কাজ করেছিল।“

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের দুই মাস আগে ঢাকার ডেমরায় বাসে আগুন দিয়ে একজনকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে যুব ও ছাত্রদলের দুই নেতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার তিনজন হলেন- ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি নুরুল ইসলাম মনির ওরফে মনির মুন্সি (৩৭), নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদ (৩৮) এবং মনির মুন্সির গাড়ি চালক মাহাবুবুর রহমান সোহাগ (৩৩)।

শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট- সিটিটিসি বলছে, যুব ও ছাত্রদলের দুই নেতা মুন্সি ও সোহাগ বাসে প্রেট্রোল দিয়ে বাসে আগুন দিয়েছিলেন।

“৭ জানুযারির নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টায় তারা এ এই কাজ করেছিল।“

শনিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসে সিটিটিসির প্রধান ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান জানান, গত ২৮ অক্টোবর রাতে ডেমরার দেইল্লা বাস স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা অছিম পরিবহনে একদল দুর্বৃত্ত আগুন দেয়।

এতে বাসে ঘুমিয়ে থাকা হেলপার মো. নাইম (২২) আগুনে পুড়ে মারা যান এবং আরেক হেলপার মো. রবিউল (২৫) মারাত্মকভাবে অগ্নিদগ্ধ হন।

এই ঘটনায় ডেমরা থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। পরে মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায় সিটিটিসি।

সিটিটিসি প্রধান আসাদুজ্জামান বলেন, “ঘটনাস্থলের চারপাশ থেকে সংগ্রহ করা সিসিটিভির ভিডিও বিশ্লেষণ করে একটি হ্যারিয়ার গাড়ি শনাক্ত করা হয়। গাড়িতে করে এসে দুর্বৃত্তরা ওইদিন বাসে আগুন দিয়েছিল বলে আমরা নিশ্চিত হই। ওই গাড়ির সূত্র ধরে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং গাড়িটিও জব্দ করা হয়।”

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, “নির্বচান বানচাল এবং মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে মনির মুন্সি তার বন্ধু সাহেদ আহমেদকে এই কাজে ডেকে নেন।

“দাঁড়িয়ে থাকা আছিম পরিবহন টার্গেট করে তারা পাশে ‘বড়ভাঙ্গা’ মার্কেটে গিয়ে ২ লিটারের পানির বোতলে পেট্রল সংগ্রহ করে। পরে ঘটনাস্থলে এসে নিরাপদ দূরত্বে গাড়ি থামিয়ে মনির মুন্সি ও সাহেদ পেট্রলের বোতল নিয়ে ওই বাসের কাছে গিয়ে আগুন ধরিয়ে দ্রুত এলাকা ছাড়েন।”

ওই রাতে যুব এবং ছাত্রদলের এই দুই নেতা ডেমরা এক্সপ্রেসওয়েতে উঠে সুফিয়া কামাল ব্রিজ দিয়ে ভুলতায় গিয়ে মনির মুন্সিদের মালিকানাধীন ‘মুন্সি পেট্রল পাম্পে’ রাত কাটান।

পরদিন সকাল ১০টার দিকে তারা পেট্রল পাম্প থেকে বের হয়ে যান বলে পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান জানান।