“গণহত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে সরকার বদ্ধপরিকর,” বলেন তিনি।
Published : 24 Oct 2024, 11:58 PM
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডের জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে চায় সরকার।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বৃহস্পতিবার রাতে এক বিবৃতিতে বলেছেন, “জুলাই-অগাস্ট গণহত্যায় জড়িত সন্ত্রাসী ও খুনিদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার ব্যাপারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বদ্ধপরিকর। ইতোমধ্যে জড়িত অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
“যাদের এখনও গ্রেপ্তার করা হয়নি, তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান চলমান রয়েছে। এ গণহত্যায় জড়িত কেউ যাতে সীমান্ত দিয়ে ও আকাশপথে পালিয়ে যেতে না পারে, সেজন্য সীমান্তে ও বিমানবন্দরসমূহে কঠোর নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।”
গ্রেপ্তার অভিযানে কোনো নিরাপদ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয়, সে ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্কতা অবলম্বনের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান উপদেষ্টা।
সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে ছাত্ররা যে আন্দোলন শুরু করে তা তীব্রতা পায় জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে। গত ১৬ জুলাই পুলিশের গুলিতে রংপুরের আবু সাঈদসহ সারা দেশে ছয়জন নিহত হওয়ার পর আন্দোলন সহিংস আকার ধারণ করে।
একসময় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন সরকার পতনের একদফা আন্দোলনে রূপ নেয়। তীব্র ছাত্র-গণ আন্দোলনের মুখে ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদে ইস্তফা দিয়ে ভারতে পালিয়ে যান। সরকার পতনের আগে ও পরে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রাণ ঝরে অনেকের।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটানো ওই আন্দোলনে সারা দেশে অন্তত ৬৩১ জন নিহত এবং ১৯ হাজার ২০০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন বলে সেপ্টেম্বরে তথ্য দেয় সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
তবে আন্দোলনকারীদের মূল প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হিসাবে নিহতের সংখ্যা ১,৫৮১ জন; আর আহত হয়েছেন ৩১ হাজারের বেশি মানুষ।