বাংলাদেশে চলতি বছর শবে বরাত পালিত হবে আগামী ৭ মার্চ দিবাগত রাতে।
বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশন সভাকক্ষে মঙ্গলবার জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।
হিজরি বর্ষের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত মুসলমানদের কাছে শবে বরাত বা ‘সৌভাগ্যের’ রাত হিসেবে বিবেচিত। ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ রাতটিতে মুসলমানরা ইবাদতে কাটিয়ে দেন।
এছাড়া শবে বরাত ঘিরে দিনটিতে বাড়িতে বাড়িতে হরেক রকমের হালুয়া, ফিরনি, রুটিসহ নানা ধরনের খাবার তৈরির প্রচলন আছে। এসব খাবার দুঃস্থ-গরিবদের মাঝে বিরতরণের পাশাপাশি প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে বাড়িতেও কেউ কেউ পাঠান।
বাংলাদেশে শবে বরাতের পরের দিনটি নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি থাকে। ফলে এবার সেই ছুটি হবে ৮ মার্চ।
চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক শেষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক মহা. বশিরুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে শাবান মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। এমতাবস্থায়, ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে শাবান মাস গণনা শুরু হবে। ১৪ শাবান, ৭ মার্চ মঙ্গলবার দিবাগত রাতে শবে বরাত পালিত হবে।
সভায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মো. নজরুল ইসলাম, সিনিয়র উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. আবদুল জলিল, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপ-সচিব মো. সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কাজী হাফিজুল আমিন, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান, বাংলাদেশ টেলিভিশনের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) মো. সিরাজুল হক ভুঞা, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, লালবাগ শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি মুহাম্মদ নিয়ামতুল্লাহ, সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার অধ্যক্ষ মুহাম্মাদ আবদুর রশীদ, চকবাজার শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি শেখ নাঈম রেজওয়ান উপস্থিত ছিলেন।