এ সভা হওয়ার কথা ছিল আগামী বৃহস্পতিবার, যা জানিয়ে আমন্ত্রিতদের চিঠি দেওয়া হয় ১৪ জুলাই।
Published : 18 Jul 2023, 11:48 PM
আমন্ত্রণ জানানোর পাঁচ দিনের মাথায় গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সবশেষ সংশোধনী নিয়ে ‘অস্পষ্টতা’ দূর করতে নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ডাকা মতবিনিময় সভা স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) এ সভা হওয়ার কথা ছিল, যা জানিয়ে আমন্ত্রিতদের চিঠি দেওয়া হয়েছিল ১৪ জুলাই।
মঙ্গলবার ‘অনিবার্য কারণে’ সভা স্থগিত করে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের কাছে চিঠি পাঠানোর পাশাপাশি ফোন করেও অবহিত করেছে ইসির জনসংযোগ শাখা।
জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদ-জানিপপ এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেন, “সভা স্থতিগের চিঠিটি পেয়েছি। ফোন করেও সভাটি ক্যানসেল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন একজন কর্মকর্তা। কমিশন এখন হয়ত আরপিও নিয়ে আর সভা করতে চাচ্ছেন না। স্থগিত হলে তো সভা হয়ত পরে সুবিধাজনক সময়ে করতে পারে এমন সম্ভাবনা থেকে যায়। কিন্তু ক্যানসেল হলে তো আর হবে না।”
ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম বলেন, “কমিশনের সিদ্ধান্তে আরপিও নিয়ে সুচিন্তিত মতামত ও পরামর্শ নেওয়ার জন্য ২০ জুলাইয়ের সভাটি ‘অনিবার্য কারণে’ স্থগিত করা হয়েছে। সুশীল সমাজ, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ও গণমাধ্যম ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানানো সংশ্লিষ্টদের স্থগিতের বিষয়টি জানানো হয়েছে।”
আলোচিত আরপিও সংশোধনটি ৪ জুলাই সংসদে পাস হয়। সেদিন সংসদে এর বিরোধিতা করে বক্তব্য দেন বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা।
আরপিও: ৯১ অনুচ্ছেদ নিয়ে ‘অস্পষ্টতা’ দূর করতে অংশীজনদের বোঝাবে ইসি
সংসদের বাইরেও নতুন সংশোধনীর ৯১ অনুচ্ছেদের একটি ধারা নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। এটা নিয়ে যে অস্পষ্টতা- তা দূর করতে অংশীজনদের কাছে ব্যাখ্যা তুলে ধরতে চেয়েছিল ইসি। এতে বিশিষ্টজনদের মতামত ও পরামর্শ নেওয়ার পাশাপাশি ব্যাখ্যা দিয়ে অস্পষ্টতা নিরসন করতে চেয়েছিল কমিশন।
গত শুক্রবার পাঠানো আমন্ত্রণপত্রে জানানো হয়েছিল, প্রকৃতপক্ষে আরপিও নিয়ে অনেকের মধ্যে অস্পষ্টতা রয়েছে, যা দূরীভূত হওয়ার প্রয়োজন। এখন ‘সভা স্থগিতকরণ’ চিঠিতে বলা হয়েছে, “২০ জুলাইয়ের সভাটি অনিবার্য কারণে স্থগিত করা হয়েছে।”
আরপিও সংশোধনী নিয়ে মতবিনিময় হলে ভালো হতো মন্তব্য করে নির্বাচন বিশ্লেষক আব্দুল আলীম বলেন, “আরপিও সংশোধনটি সংসদে পাস হয়েছে। এখন আর কিছু করার নেই। কিন্তু মতামত, পরামর্শ সব সময়ই নেওয়া ভালো। এরমাধ্যমে নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা এ ধরনের সংশোধনী নিয়ে কথা বলার সুযোগ পেত, তাতে সবার মনে আস্থা আরও বাড়ত।
“অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা সবসময় ইতিবাচক। আমন্ত্রণ পেয়েছিলাম। সবশেষ অগ্রগতি থাকলে তাও হয় জানাবে।”
সম্প্রতি ঢাকা-১৭ উপনির্বাচনসহ নানা ব্যস্ততা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। ইইউ প্রতিনিধি দলও ঢাকায় দুই দফা কমিশনে গেছে। মঙ্গলবারও একটি দল বৈঠক করেছে। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের দায়িত্বশীলদের কাছ থেকে বাংলাদেশের ভোটের পদ্ধতির আদ্যোপান্ত জেনেছে সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রাক-নির্বাচনী কারিগরি ও আইনি দল।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সংবিধান, আইন, বিধি, দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক নিয়োগ, মনোনয়নপত্র বাছাই, নির্বাচনী আইনি ঝামেলা, সবশেষ আইন সংশোধনীর বিষয়ে জেনেছেন তারা।
এর মধ্যে সভাটি স্থগিত করা হল, তবে সেই ‘অনিবার্য কারণ’ কি তা বলেননি ইসি কর্মকর্তারা।