আগামী ৮ জুনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ তথ্যসহ এ সম্পর্কিত অভিযোগ জমা দিতে হবে।
Published : 04 Jun 2024, 12:50 PM
মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা কর্মীরা মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ জানাতে পারবেন। কীভাবে সেই অভিযোগ করতে হবে, তা জানানো হয়েছে এক গণবিজ্ঞপ্তিতে।
মঙ্গলবার প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ওই গণ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ৮ জুনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ তথ্যসহ এ সম্পর্কিত অভিযোগ জমা দিতে হবে।
অভিযোগকারীর নাম, পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, রিক্রুটিং এজেন্সির নাম, পাসপোর্ট নম্বর, বিএমইটির স্মার্ট কার্ডের কপি, এবং অভিযোগের পক্ষে প্রমাণসহ বিস্তারিত তথ্য [email protected] ইমেইলে পাঠাতে হবে।
তবে অভিযোগ পাওয়ার পর মন্ত্রণালয় কী পদক্ষেপ নেবে, সেটি বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট করা হয়নি।
মালয়েশিয়া সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী সে দেশে যাওয়ার অনুমোদন পাওয়া বাংলাদেশি কর্মীদের প্রবেশের শেষ দিন ছিল ৩১ মে। কর্মী ভিসায় আর কেউ সেখানে ঢুকতে পারবেন না।
এই সুযোগে কিছু এজেন্সির যোগসাজশে এই রুটে ভাড়া ৩০ হাজার টাকা থেকে কয়েক গুণ বেড়ে লাখ টাকার বেশি হয়ে যায়।
এমন অনিশ্চয়তার মধ্যে অনেকে গত শুক্রবার সকাল থেকে বিমানবন্দরে আসতে থাকেন। যেসব এজেন্সির সঙ্গে চুক্তি, তারাই ডেকে আন তাদের। সন্ধ্যা পর্যন্ত বিমানবন্দরে উৎকণ্ঠিত মানুষের ভিড় দেখা যায়।
সংকট লাঘবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুরে একটি অতিরিক্ত ফ্লাইট পরিচালনা করে। কিন্তু তাতে সর্বোচ্চ ২৭১ জন যাত্রীর মালয়েশিয়ায় যাওয়ার সুযোগ মেলে।
দিনভর অবস্থান করে স্বপ্নভঙ্গের যন্ত্রণা নিয়ে রাতে কয়েকশ মানুষ বিমানবন্দর থেকে ফিরে যান।
বাংলাদেশ জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য বলছে, গত ২১ মে পর্যন্ত প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ৫ লাখ ২৩ হাজার ৮৩৪ জন কর্মীকে মালয়েশিয়া যাওয়ার অনুমোদন দেয়। ২১ মের পর অনুমোদন দেওয়ার কথা না থাকলেও মন্ত্রণালয় এর পরেও আরও ১ হাজার ১১২ জনকে অনুমোদন দেয়।
বিএমইটির তথ্য অনুযায়ী, অনুমোদন পেয়েও ৩১ হাজার ৭০১ জন মালয়েশিয়া যেতে পারেননি।
এ সংকটের কারণ অনুসন্ধানে শনিবার ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নূর মো. মাহবুবুল হককে প্রধান করে গঠিত ওই কমিটিকে সাত কর্ম দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।