“আপাতত সেখানে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে টোল নেওয়া হবে।”
Published : 22 Aug 2024, 03:25 PM
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে ভাঙচুর করে পুড়িয়ে দেওয়ার কারণে এক মাস বন্ধ থাকার পর চালু হল ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মহাখালী টোল প্লাজা।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে ওই টোলপ্লাজায় টোল আদায় শুরু হয়েছে বলে ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স বিভাগের ব্যবস্থাপক হাসিব হাসান খান জানিয়েছেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “টোল প্লাজা খুলে দিয়েছি। আপাতত সেখানে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে টোল নেওয়া হবে।”
এর আগে গত ১৫ অগাস্ট এক্সপ্রেসওয়ের বনানী চেয়ারম্যানবাড়ি টোলপ্লাজা, ১১ অগাস্ট বিমানবন্দর, কুড়িল, তেজগাঁও ও বনানী টোলপ্লাজা চালু করা হয়।
হাসিব হাসান খান বলেন, “ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে টোল আদায়ের পাশাপাশি ওই টোলপ্লাজা দুটির সংস্কার কাজ চলছে। এটা করতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। এরপর সেখানে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে টোল আদায় করা হবে।”
কোটাবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৮ জুলাই রাতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বনানীর টোল প্লাজা ভাঙুচর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। শুক্রবার মহাখালীর টোলপ্লাজায় আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।
আগুনে টোল প্লাজার ছাউনি, টোলের বুথ এবং অপারেটিং সিস্টেম পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র, কম্পিউটারসহ যন্ত্রপাতি।
সেদিন থেকেই বন্ধ হয়ে যায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। তীব্র ছাত্র আন্দোলনের মুখে ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন। এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহন চলাচলও শুরু হয়। তবে টোল প্লাজা খোলার আগ পর্যন্ত বন্ধ থাকে টোল আদায়।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে প্রতিদিন ৫০ হাজারের বেশি যানবাহন চলাচল করে।
দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের আওতায় শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত যাবে। সংযোগ সড়কসহ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের দৈর্ঘ্য হবে ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার।
২০২৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত অংশে যান চলাচল উদ্বোধন করেন। এতে যান চলাচল শুরু হয় পরদিন ৩ সেপ্টেম্বর।
এরপর চলতি বছরের ২০ মার্চ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারওয়ানবাজার র্যাম্প খুলে দেওয়া হয়।