সমালোচনার মুখে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন চট্টগ্রামে জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠানে নিজের দেওয়া বক্তব্য অস্বীকার করেছেন।
তিনি সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, “শেখ হাসিনার সরকারকে টিকিয়ে রাখতে হবে- ভারতে গিয়ে এমন কথা বলিনি। এটা একটা ডাঁহা মিথ্যা কথা। নির্বাচন নিয়েও কোনো কথা বলিনি।”
“গ্লোবাল কনটেক্সটে যে অস্থিতিশীলতা হচ্ছে, সেটা নিয়ে কথা বলেছি,” বলেন তিনি।
গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠানে মোমেন বলেছিলেন, “আমি ভারতে গিয়ে বলেছি, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে … শেখ হাসিনার সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করা দরকার, আমি ভারতবর্ষের সরকারকে সেটা অনুরোধ করেছি।”
বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে না- ভারতে গিয়ে এমন বক্তব্য দেওয়ায় মোমেনের বিরুদ্ধে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্তের নেতৃত্বে সেদিন চট্টগ্রামে কালো পতাকা মিছিল হচ্ছিল মোমেনের বিরুদ্ধে।
তার প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে নিজের ভারত সফরে দেওয়া বক্তব্যের ব্যাখ্যা দেওয়ার সময় মোমেনের মুখে ওই কথা শোনা গিয়েছিল।
সরকারকে ক্ষমতায় ‘টিকিয়ে’ রাখতে ভারতকে অনুরোধ করে মোমেন রাজনৈতিক অঙ্গনে যেমন সমালোচনায় পড়েছেন, তেমনি তার পদত্যাগ চেয়ে আইনি নোটিসও পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী। তাতে মোমেনের বিরুদ্ধে ‘শপথ ভঙ্গ এবং সংবিধান লঙ্ঘনের’ অভিযোগ আনা হয়।
তা নিয়ে সোমবার মোমেন বলেন, “আমাকে যে অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে, তার ধারের কাছেও আমি নেই।”
রাজনীতিতে যুক্ত হয়েই সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী হওয়া মোমেন সম্প্রতি দেশকে ‘বেহেশতের’ সঙ্গে তুলনা করেও সমালোচনায় পড়েছিলেন।
এরপর দল থেকে সতর্ক করে দেওয়া হলে তিনি বলেছিলেন, এখন থেকে সাবধান হয়ে কথা বলবেন তিনি।
তবে তারপরই ভারত নিয়ে বক্তব্যের জন্য এখন চাপে রয়েছেন মোমেন।
তার এই বক্তব্যের দায় দলও নিতে চাইছে না। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মোমেন ওই বক্তব্য তার নিজস্ব।