নির্বাচন প্রস্তুতি যেন পিছিয়ে না থাকে, সেজন্যে কাজগুলো গুছিয়ে রাখা হচ্ছে, বলেন তিনি।
Published : 15 Apr 2025, 04:33 PM
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রয়োজনীয় কাগজ কেনাকাটা ও মুদ্রণ কাজ ভোটের আগে তিন থেকে চার মাসের মধ্যে করার প্রস্তুতি রাখছে নির্বাচন কমিশন-ইসি সচিবালয়।
মঙ্গলবার ভোটের সামগ্রী চাহিদা নিরূপণ, সম্ভাব্য বাজেট ও মজুদ যাচাই নিয়ে মুদ্রণ ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে।
ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বৈঠক শেষে ইসি সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের বলেছেন, নির্বাচন প্রস্তুতি যেন পিছিয়ে না থাকে, সেজন্যে কাজগুলো গুছিয়ে রাখা হচ্ছে।
তিনি বলেন, “মূলত পেপার প্রকিউরমেন্ট থেকে প্রিন্টিং পর্যন্ত সময়সীমা কতটুকু লাগে। উনারা বলেছেন যে, তিন মাস থেকে চার মাস সময় লাগে। যেভাবে ব্যাকওয়ার্ড ক্যালকুলেশন হবে সেভাবে (এগোবে)। নির্বাচনের তারিখ বা নির্বাচনের সিডিউল সম্পর্কে যে সিদ্ধান্তটা হবে; তখন যেন আমাদের ব্যাকওয়ার্ড ক্যালকুলেশনটা থাকে।”
ইসি কর্মকর্তারা বলেন, সংসদ নির্বাচনে ২১ প্রকার ফরম, ১৭ প্রকার প্যাকেট, পাঁচ প্রকার পরিচয়পত্র, আচরণবিধি, প্রতীকের পোস্টার, নির্বাচন পরিচালনা ম্যানুয়েল, প্রশিক্ষণ ম্যানুয়েল, নির্দেশিকাসহ অনেক কিছু মুদ্রণ করতে হয়।
সেপ্টেম্বরের মধ্যে এসব মুদ্রণ করে সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরা হয় সভায়, বলেন তারা।
সে ক্ষেত্রে মে মাসের মধ্যে কেনাকাটা শুরু করতে হবে।
তফসিল ঘোষণার পর মনোনয়নপত্র এবং প্রতীক বরাদ্দ হলে প্রার্থীর নাম ও প্রতীক নিয়ে ব্যালট পেপার মুদ্রণ রয়েছে। যেগুলো মাঠ পর্যায়ে পাঠাতে হয়।
>> সবশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের সময় ১ লাখ ৬১ হাজার রিম কাজ কেনা হয়েছিল। সেবার ৩৩ কোটি টাকার বেশি ব্যয় হয়েছিল।
>> এবার অন্তত ১ লাখ ৭০ হাজার রিম কাগজ কেনার প্রয়োজন হতে পারে। শুধু কাজ কেনায় ৩৬ কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে।
এবার জুনে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শেষ হচ্ছে।
প্রায় সাড়ে ১২ কোটি ভোটারের পাশাপাশি ভোটকেন্দ্র, কক্ষ ও ভোগ্রহণ কর্মকর্তাও আগের তুলনায় বাড়বে।
সেক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গ ধারণা পেতে আরও কয়েক মাস সময় লাগবে। তখনকার বাজার দর বিবেচনায় ব্যয় ধরা হবে, বলেছেন ইসি কর্মকর্তারা।
যা নিয়ে আলোচনা
মঙ্গলবার সভার আলোচনার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ বলেন, “আসন্ন নির্বাচনে কাগজ কী পরিমাণ লাগে সে সম্পর্কে ধারণা নেওয়া, এ সংক্রান্ত বাজেটের সংস্থানের ব্যাপার এবং আগের নির্বাচনের কিছু কাগজপত্র বিজি প্রেসে রয়েছে সেগুলোর গুণগত মান নষ্ট হয়ে থাকলে ডিসপোজালের ব্যবস্থা করা (নিয়ে সভায় আলোচনা হয়েছে)।”
এ বৈঠকে ইসি কর্মকর্তার পাশাপাশি বিজি প্রেসের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচনকে সামনে রেখে কাজটির বিষয়ে একটি কমিটিও করে দিয়েছে ইসি সচিবালয়।
“আমরা একটি কমিটি করে দিয়েছি। তারা যাচাই-বাছাই করবে, যে কাগজগুলো নষ্ট হয়ে গিয়েছে সেগুলোর প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ডিসপোজাল করা হবে। কাগজের পরিমাণ কতটুকু ও কতদিন টাইম লাগতে পারে সে বিষয়ে নিজেদের প্রস্তুতি রাখার জন্যে এ আলোচনা করা হয়েছে।”
এই কাজের শুরু থেকে শেষ করা পর্যন্ত মোটামামুটি তিন মাস সময় লাগে বলে সভায় জানানো হয়েছে।
সচিব বলেন, “সে সাথে আরও একটি ফ্লেক্সিবিলিটি যদি রাখে, চার মাসের ভেতরে আমরা সবগুলো প্রকিউরমেন্ট করতে পারবো।”
পুরনো খবর:
নির্বাচনি সামগ্রী নিয়ে মঙ্গলবার বসছে ইসি সচিবালয়