Published : 05 May 2025, 05:07 PM
বিভিন্ন দাবি আদায়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা কর্মবিরতি শুরু করেছেন।
শিক্ষক নেতারা বলছেন, আগামী ১৫ মে পর্যন্ত ক্লাসের দিনে এক ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালনের পর পর্যায়ক্রমে এর ব্যপ্তি বাড়বে।
সহকারী শিক্ষক পদকে এন্ট্রি (চাকরিতে প্রবেশ) পদ ধরে ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ, চাকরির ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার জটিলতা নিরসন এবং প্রধান শিক্ষক পদে সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতিসহ দ্রুত পদোন্নতি দেওয়ার দাবিতে সোমবার থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের সংগঠনগুলোর মোর্চা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এ কর্মসূচি চলছে।
মোর্চাভুক্ত সংগঠন বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজের সভাপতি মো. আনিসুর রহমান সোমবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা সংস্কারে পরামর্শক কমিটি শিক্ষকদের বেতন এন্ট্রি লেভেলে ১২তম গ্রেডে নির্ধারণ ও চার বছর পর পদোন্নতি দিয়ে ১১তম গ্রেড দেওয়ার সুপারিশ করেছে।
“কিন্তু আমরা চাচ্ছি এন্ট্রি পদেই সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে বেতন। আর উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার জটিলতা নিরসন ও প্রধান শিক্ষকের শতভাগ পদে সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতির দাবিতে প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে কর্মবিরতি শুরু করেছি।
তিনি বলেছেন, আগামী ১৫ মে পর্যন্ত ক্লাসের দিনে এক ঘণ্টা, ১৬-২০ মে দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করবেন সারাদেশের শিক্ষকরা।
“আর ২১ থেকে ২৫ মে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে। ২৬ মে থেকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করবেন শিক্ষকরা,” বলেন এই শিক্ষক নেতা।
সারাদেশের ৬৫ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এ কর্মসূচি পালন করছেন বলেও দাবি করেন এ শিক্ষক নেতা।
বর্তমানে সহকারী শিক্ষকরা ১৩তম গ্রেডে ও প্রধান শিক্ষকরা ১১তম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর গত অক্টোবরে প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা সংস্কারে পরামর্শক কমিটি গঠন করা হয়। এর আহ্বায়ক করা হয় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক মনজুর আহমেদকে। কমিটিতে একজন সদস্য সচিব এবং ৭ জন সদস্য ছিলেন। গত ১০ ফেব্রুয়ারি কমিটি সুপারিশ প্রতিবেদন জমা দেয়।
কমিটির পক্ষ থেকে, সহকারী শিক্ষক পদ বিলুপ্ত করে এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক পদে ১২তম গ্রেডে বেতন দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেডে দেওয়া এবং পদোন্নতির মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে।
এরপর গত ২৪ এপ্রিল ১১তম গ্রেডে বেতন পাওয়া প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেডে ও ১৩তম গ্রেডের শিক্ষকদের বেতন ১২তম গ্রেডে উন্নিত করার উদ্যোগ নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।