ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলামের আদালত আগামী ২১ মে প্রতিবেদন দাখিলের নতুন দিন ঠিক করেছেন।
Published : 15 Apr 2025, 01:22 PM
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে আরো এক মাস সময় পেল তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই।
মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলামের আদালত আগামী ২১ মে প্রতিবেদন দাখিলের নতুন দিন ঠিক করেছেন।
আলোচিত এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ছিল এদিন। কিন্তু তদন্ত সংস্থা পিবিআই প্রতিবেদন না দেওয়ায় বিচারক সময় পিছিয়ে দেন।
মামলাটিতে এ নিয়ে ১১৭ বারের মত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পেছাল।
শেরেবাংলা নগর থানার আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের সাব-ইন্সপেক্টর রফিকুল ইসলাম রাসেল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া করা বাসায় খুন হন সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি। নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
সাগর সে সময় বেসরকারি টেলিভিশন স্টেশন মাছরাঙা টিভিতে আর রুনি এটিএন বাংলায় কর্মরত ছিলেন। হত্যার ঘটনায় রুনির ভাই নওশের আলী রোমান শেরেবাংলা থানায় মামলা করেন। ১৩ বছর পার হলেও তদন্ত প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখেনি।
বিভিন্ন সময়ে মোট আটজনকে এ মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দুজন জামিনও পান।
এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর শেরেবাংলা নগর থানাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিন দিন পর মামলাটি গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল মামলাটি র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এ হত্যাকাণ্ডের পর তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের রহস্য উন্মোচন করে তা জাতির সামনে প্রকাশ করা হবে; কিন্তু এক যুগেও সে রহস্য উন্মোচন আলোর মুখ দেখেনি।
দায়িত্ব পেয়ে ডিএনএসহ অন্যান্য বায়োমেট্রিক পরীক্ষার জন্য ঘটনাস্থল থেকে বটি, পরিধেয় কাপড়সহ বেশ কিছু বস্তু পরীক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ল্যাবেও পাঠায় র্যাব। কিন্তু এতদিনেও তার ফল প্রকাশ করা হয়নি।
তদন্ত প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রতা নিহত সাংবাদিক দম্পতির পরিবার এবং পেশাজীবীদের মধ্যে হতাশা ও উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এই মামলার দ্রুত ন্যায়বিচার পাওয়ার দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে।
গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তের দায়িত্ব থেকে র্যাবকে বাদ দেওয়া হয় এবং একইসঙ্গে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠন করে এ তদন্ত কাজ সম্পন্ন করতে ছয় মাস বেঁধে দেয় হাই কোর্ট। টাস্কফোর্সের অধীনে পিবিআই মামলাটির তদন্ত করছে।
এর আগে টাস্কফোর্সের তদন্ত ইতোমধ্যে ‘অনেকদূর’ এগিয়ে গেছে বলে জানিয়েছিলেন আইনজীবী শিশির মনির।