২০১৮ সালের ১৭ নভেম্বর ডিবি পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয় এনামুলকে; ২৬ নভেম্বর ছেড়ে দেওয়া হয়।
Published : 23 Sep 2024, 10:17 PM
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এবার গুমের অভিযোগ আনা হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। এছাড়া আরেকটি হত্যার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে তার নামে।
ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনে রোববার এ দুটি অভিযোগ দায়ের করা হয় বলে প্রধান কৌঁসুলি মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানান।
হত্যা মামলাটি দায়ের করেন মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির নিহত ছাত্র ছিল ইয়ামিনের মামা।
তাজুল ইসলাম বলেন, গত ১৮ জুলাই সাভারে দুজন পুলিশ ইয়ামিনকে গুলি করে আহত করে। পরে তাকে এপিসি থেকে ফেলে দেওয়া হয়। এরপর আবার তার বুকে টিয়ার শেল মারা হয়। তাকে সাভারের সুপার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। চিকিৎসা ছাড়া একঘণ্টা ফেলে রাখা হয়। ওই সময়ও সে বেঁচে ছিল, পানি চেয়েছিল। এরপর অন্য একটা হাসপাতালে নেওয়া হলে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় ইয়ামিনের মামা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৭৮ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আরেকটি অভিযোগ দায়ের করেন রাজধানীর বাসাবো এলাকার ব্যবসায়ী এনামুল কবির। তাকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নিয়ে ১০ দিন ‘গুম’ করে রাখার কথা বলা হয়েছে অভিযোগে।
প্রধান কৌঁসুলি তাজুল ইসলাম বলেন, ২০১৮ সালের ১৭ নভেম্বর ডিবির তৎকালীন অফিসার মশিউরের নির্দেশে বাসাবো থেকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয় এনামুলকে। চোখ ও হাত-পা বেঁধে তাকে ফেলে রাখা হয়। ২৬ নভেম্বর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
“ওই সময় তার কাছ থেকে বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের ব্যাপারে তথ্য আদায়ের চেষ্টা করা হয়েছিল, বিশেষ করে জামায়াতে ইসলামীর ব্যাপারে তার কাছে তথ্য জানতে চাওয়া হয়।”
২৬ নভেম্বর এনামুল কবিরের বাসাবোর অফিস থেকে এক বস্তা ‘বিস্ফোরক সদৃশ বস্তু’ উদ্ধার করার অভিযোগে মামলা করে পুলিশ।
ওই ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ২৫ জনকে আসামি করে অভিযোগ দায়ের করেছেন এ ব্যবসায়ী।
শেখ হাসিনা গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতে চালিয়ে যাওয়ার পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেয়।
গত জুলাই-অগাস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগ সরকারের দমন-পীড়নে প্রাণহানির ঘটনাকে গণহত্যা বিবেচনা করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারের উদ্যোগ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
এরপর থেকে সেখানে কয়েক ডজন অভিযোগ দায়ের হয়েছে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। তার সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা ও বিগত সরকারের মন্ত্রী-এমপিদেরও আসামি করা হয়েছে এসব মামলায়।