ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: আশ্রয়কেন্দ্রে ২৫ হাজারের বেশি মানুষ

ভারি বর্ষণ ও ঝড়ো হাওয়ার কারণে নিরাপদে আশ্রয়ে চলে যান উপকূলের বাসিন্দারা।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Nov 2023, 10:56 AM
Updated : 17 Nov 2023, 10:56 AM

ঘূর্ণিঝড় মিধিলির কারণে জানমাল বাঁচাতে আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছে নারী ও শিশুসহ উপকূলের ২৫ হাজারের বেশি মানুষ।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেছেন, “ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের সতর্কতা ও প্রস্তুতি রয়েছে। মাঠ পর্যায়ের তথ্য পাচ্ছি, পূর্ণাঙ্গ তথ্য আসতে আরও সময় লাগবে।”

ঘূর্ণিঝড় শুরুর পর ক্ষয়ক্ষতির তথ্য এখনও আসেনি জানিয়ে তিনি বলে, “আশা করি তেমন ক্ষয়ক্ষতি হবেও না। উপকূলীয় এলাকায় ৯২৯টি মেডিকেল টিমসহ সবাইকে সতর্ক রাখা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২৫ হাজার ২৮৫ জনকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হয়েছে।”

দেশের ১৬ উপকূলীয় জেলায় ৭ হাজার ৩৩৫টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তত রয়েছে। এখন পর্যন্ত আশ্রয়কেন্দ্রে ১১ হাজার ২২৩ জন নারী, ১০ হাজার ৭৯৫ জন পুরুষ, ৩ হাজার ৬৪ জন শিশু, ২০৩ জন প্রতিবন্ধী আশ্রয় নিয়েছেন। এছাড়া ১ হাজার ৩০৮টি গরু/মহিষ, এক হাজার ৭০৩টি ছাগল/ভেড়া ও ২৭৪টি অন্যান্য গবাদি পশু রয়েছে আশ্রয়কেন্দ্রে।

ভারি বর্ষণ ও ঝড়ো হাওয়ার অব্যাহত থাকায় আশ্রয়কেন্দ্রে আসছে লোকজন। মাইকিংও করা হচ্ছে। আবার আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় চাঁদপুরে অনেকে আশ্রয় কেন্দ্র থেকে ফিরেও যাচ্ছে।

অব্যাহত বর্ষণে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় বসতঘরের মাটির দেয়াল চাপায় এক পরিবারের চারজন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে হ্নীলা ইউনিয়নের মৌলভীবাজারের মরিচ্যাঘোনার পানিরছড়া এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, “কক্সবাজারের দেয়াল চাপায় মৃত্যুর খবর এসেছে। মিধিলি এর প্রভাব শুরু হওয়ার আগে এ ঘটনা ঘটেছে। তবে ঝড় শুরুর পর মৃত্যুর তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি। ঘূর্ণিঝড় উপকূল অতিক্রমের পর পূর্ণাঙ্গ তথ্য আসবে।”

আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম বলেন, “মানুষকে সাবধান করার জন্য আমরা বিপৎসংকেত দিয়েছি। তবে এটা শক্তিশালী সাইক্লোন না, খুবই দুর্বল প্রকৃতির। তাই জানমালের ক্ষয়ক্ষতি সেরকম হবে না, মানুষ যদি সচেতন থাকে।”

ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রভাগ শুক্রবার দুপুরে উপকূল স্পর্শ করে। ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার গতির বাতাসের শক্তি নিয়ে খেপুপাড়ার কাছ দিয়ে মোংলা-পায়রা উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করে। বিকাল ৩টার দিকে তা পুরোপুরি স্থলভাগে উঠে আসে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।