তার ভাষায়, কীভাবে নির্বাচন হবে বাংলাদেশের জনগণই তা ঠিক করবে।
Published : 09 Nov 2023, 10:35 PM
জাতীয় নির্বাচন যে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়, সে কথা তুলে ধরে ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, এক্ষেত্রে তার দেশ কোনো হস্তক্ষেপ করবে না।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমরা বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা চাই এবং আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখব। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণই ঠিক করবে কীভাবে নির্বাচন হবে বা গণতন্ত্রকে তারা কীভাবে দেখতে চায়।”
চীন দূতাবাসের সহযোগিতায় ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই)’ বিষয়ে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন ইয়াও ওয়েন।
আর দুই মাসের মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সরকার নির্বাচন করার কথা বাংলাদেশের। সেই নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ হয়, সেই বার্তা নিয়ে তৎপর পশ্চিমা দেশগুলো।
নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপিসহ সমমনাদের আন্দোলনে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ইতোমধ্যে সংঘাতে গড়িয়েছে। তাদের দাবি হল, সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে এবং নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয় সরকারের অধীনে।
অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও তাদের অবস্থানে অনড়। তাদের ভাষ্য, সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে।
সংঘাত এড়াতে বিভিন্ন মহল থেকে সংলাপের আহ্বান জানানো হলেও বিবাদমান কোনো পক্ষই তাতে সাড়া দেয়নি।
ডিক্যাবের অনুষ্ঠানে নির্বাচন ঘিরে চীনের অবস্থান তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, “আমি উল্লেখ করতে চাই, আসন্ন নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়।
“পররাষ্ট্রনীতির আলোকে চীন অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার বিষয়ে অবিচল থাকে এবং কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে জোরপূর্বক হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করে।”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের ভবিষ্যতে নির্ধারিত হতে হবে বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছায়। বাংলাদেশের পাশাপাশি চীন-বাংলাদেশের সম্পর্ক যাতে আরও ভালো হয়, সে বিষয়ে চীন পূর্ণ আস্থাশীল।
“বাংলাদেশের বন্ধু হিসেবে চীন আন্তরিকভাবে আশা করে, বাংলাদেশের সবপক্ষই জনগণের মৌলিক স্বার্থকে পূর্ণ বিবেচনায় নেবে, যথাযথভাবে বিরোধ মেটাবে এবং সম্মিলিতভাবে রাজনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখবে।”
ডিক্যাব সভাপতি রেজাউল করিম লোটাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে চাইনিজ এন্টারপ্রাইজেস অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশের (সিইএবি) সভাপতি কু চ্যাংলিয়াং বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডিক্যাব সাধারণ সম্পাদক ইমরুল কায়েস।