সামাজিক অনুষ্ঠানসহ দৈনন্দিন কাজে বাহুল্য শব্দ সৃষ্টি বন্ধ করা জরুরি বলেও মন্তব্য করেন উপদেষ্টা।
Published : 03 Mar 2025, 04:28 PM
শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে শ্রবণ ক্ষমতা হারানোর ঝুঁকি কমিয়ে আনা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেছেন, “শ্রবণক্ষমতা কমার অন্যতম কারণ হচ্ছে শব্দদূষণ।”
সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ‘বিশ্ব শ্রবণ দিবস ২০২৫’ এর এক আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন। নাক, কান, গলা, হেড-নেক ক্যান্সার হাসপাতাল ও ইন্সটিটিউট এ সভার আয়োজন করে।
উপদেষ্টা বলেন, “শব্দদূষণ রোধ ও সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে শ্রবণ ক্ষমতা হারানোর ঝুঁকি কমানো সম্ভব। এজন্য আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন আনতে হবে এবং অপ্রয়োজনীয় শব্দ সৃষ্টি হতে বিরত থাকতে হবে।”
মন্ত্রণালয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, এবারে ‘মানসিকতার পরিবর্তন: নিজেকে শক্তিশালী করে তুলুন’ শীর্ষক প্রতিপাদ্য র্নিধারণ করে দিবসটি পালিত হয় দেশে।
শ্রবণস্বাস্থ্য রক্ষা শুধু ব্যক্তিগত বিষয় নয় মন্তব্য করে রিজওয়ানা হাসান বলেন, “এটি পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যেরও গুরুত্বপূর্ণ অংশ। শহরাঞ্চলে অতিরিক্ত যানবাহনের হর্ন, শিল্পকারখানার শব্দ ও উচ্চস্বরে মাইক ব্যবহারের কারণে শ্রবণজনিত সমস্যার ঝুঁকি বাড়ছে।”
সরকার শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে, তবে নাগরিকদেরও সচেতন হতে হবে। হর্ন বাজানো বন্ধ করার পাশাপাশি সামাজিক অনুষ্ঠানসহ দৈনন্দিন কাজে বাহুল্য শব্দ সৃষ্টি বন্ধ করাও জরুরি বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ইএনটি অ্যান্ড হেড-নেক ক্যান্সার হাসপাতাল অ্যান্ড ইনস্টিটিউটের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান চৌধুরী।
অন্যদের মধ্যে ইনস্টিটিউটের ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক জাহানারা আলাউদ্দিন, সদস্য সচিব কামরুল হাসান তরফদার, বাংলাদেশ ইএনটি হাসপাতালের অধ্যাপক মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ, উত্তরা আধুনিক হাসপাতালের অধ্যাপক ফিরোজ আহমেদ খান ও হাসপাতালটির সিনিয়র কনসালটেন্ট আলী ইমাম বক্তব্য দেন।