নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে হয়রানির অভিযোগে এক কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের কথা জানিয়েছে এসবি।
Published : 24 Nov 2024, 04:14 PM
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে সাংবাদিক নূরুল কবীরকে হয়রানির অভিযোগে পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) বলছে, বিভিন্ন ব্যক্তির বিদেশ যাত্রা আটকাতে শেখ হাসিনার সরকারের সময়ে করা ‘ব্লকড লিস্টের’ কারণে ওই ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনাটিকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ অভিহিত করে রোববার এসবি এক বার্তায় দুঃখও প্রকাশ করেছে।
বার্তায় বলা হয়েছে, “আগের সরকারের সময়ের ‘ব্লকড লিস্টে’ কয়েক হাজার লোককে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, যাতে করে তাদের বিদেশ সফরের সময় আটকে দেওয়া যায় বা বিদেশ ভ্রমণের সময় হয়রানি করা যায়।
“অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা নেওয়ার পর পুলিশের বিশেষ শাখা আগের তালিকা থেকে রাজনৈতিক ব্যক্তি, ভিন্নমতাবলম্বী, সাংবাদিক ও অধিকারকর্মীদের বাদ দিতে শুরু করে। কাজটির বেশিরভাগই হাতে-কলমে করা হচ্ছে। ফলে কিছু ভিন্নমতাবলম্বী ও সাংবাদিকের নাম এখনও রয়ে গেছে। তালিকার নামগুলো সরাতে জোর চেষ্টা চলছে।”
নূরুল কবীরকে হয়রানির অভিযোগ ওঠার পর ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এক কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের কথা জানিয়েছে এসবি।
পুলিশের এ শাখার প্রধান রফিকুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য জানিয়ে বলেন, ওই ঘটনার তদন্ত ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।
ইংরেজি দৈনিক নিউ এজের সম্পাদক নূরুল কবীর শনিবার তার ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেজে ‘হয়রানির’ অভিযোগে পোস্ট করে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর দেশপ্রেম নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
বিষয়টি নিয়ে রাতেই তদন্তের নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
তার কার্যালয়ের দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “বিশিষ্ট সম্পাদক নূরুল কবীর সম্প্রতি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। আমরা এ ঘটনার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত।'”
অন্তর্বর্তী সরকার দেশের কোনো সাংবাদিককে হয়রানির ঘটনা সহ্য করবে না জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “নূরুল কবীর তার দীর্ঘ ক্যারিয়ারে আমাদের সবচেয়ে সম্মানিত সম্পাদকদের একজন, যুক্তিসংগত চিন্তার এক প্রধান কণ্ঠস্বর এবং সাংবাদিকতার নৈতিকতার একজন শীর্ষ প্রবক্তা হিসেবে পরিচিত। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনুস এ ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।"
এর পরদিন দুঃখ প্রকাশ করে ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে এক কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের তথ্য দিল পুলিশের বিশেষ শাখা।
পুরনো খবর-