বুধবার এই কলোনিতে অভিযান শুরুর উদ্যোগ নিলে সেখানে বসবাসরত বাসিন্দাদের পক্ষে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়।
Published : 10 Jul 2024, 07:47 PM
রাজধানীর বংশালের আগাসাদেক রোডের পাশে মিরনজিল্লা হরিজন কলোনিতে উচ্ছেদ অভিযানের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেছে আপিল বিভাগ।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অভিযান পরিচালনার উদ্যোগের বিরুদ্ধে করা একটি আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেয়।
আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট অনীক আর হক। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট উৎপল বিশ্বাস।
পরে অনীক আর হক সাংবাদিকদের বলেন, মিরনজিল্লা হরিজন কলোনিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নতুন করে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার উদ্যোগ নেয়। এজন্য এই কলোনিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ মোতায়েন করতে গতকাল (মঙ্গলবার) সংশ্লিষ্টদের চিঠি দেয়। পাশাপাশি স্থানীয় কাউন্সিলকেও এ বিষয়ে সহায়তা করতে বলা হয়।
“এরপর আজ হরিজন কলোনিতে আবার অভিযান শুরুর উদ্যোগ নিলে সেখানে বসবাসরত বাসিন্দাদের (হরিজন) পক্ষে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়।
“শুনানি শেষে আপিল বিভাগ সিটি করপোরেশনের অভিযানের ওপর স্থিতাবস্থা দিয়েছেন। একই সঙ্গে আগামীকাল আপিল বিভাগে এ বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন।”
এর আগে মিরনজিল্লা হরিজন সিটি কলোনি উচ্ছেদের জন্য নোটিস দেয় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।
এটা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের তিন আইনজীবী আইনুন নাহার সিদ্দিকা, মনজ কান্তি ভৌমিক ও আইনজীবী উৎপল বিশ্বাস।
ওই রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৩ জুন এই হরিজন কলোনিতে উচ্ছেদ অভিযানের ওপর এক মাসের জন্য স্থিতাবস্থা জারি করে হাই কোর্ট।
পাশাপাশি বসবাসের বিকল্প ব্যবস্থা না করে হরিজনদের উচ্ছেদ না করতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) কর্তৃপক্ষকে নির্দেশও দেওয়া হয়।
রুলসহ ওই আদেশ আসে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাই কোর্ট বেঞ্চ থেকে।
সেদিন আদালতে হরিজনদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন রিটকারি তিন আইনজীবী।
রুলে বিকল্প আবাসনের ব্যবস্থা না করে উচ্ছেদ অভিযান কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
এরপর হাই কোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে সিটি করপোরেশন। পরে চেম্বার আদালত হাই কোর্টের আদেশের বিষয়ে ‘নো অর্ডার’ দেয়।
ব্রিটিশ আমলে ভারত থেকে আসা হরিজন সম্প্রদায়ের লোকজন বহু বছর ধরে এই কলোনিতে বসবাস করে আসছেন।
মিরনজিল্লার সুইপার কলোনিতে বর্তমানে প্রায় চার হাজার মানুষের বসবাস। এই কলোনির একটি অংশে আধুনিক কাঁচাবাজার নির্মাণ করতে চায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।