তারা গাড়িতে আসা শিক্ষার্থীদের নামিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঢুকিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব পালন করবে। এতে চালক বা অভিভাবককে নামার প্রয়োজন পড়বে না।
Published : 07 Oct 2023, 09:19 PM
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক যানজট নিরসনে 'ট্রাফিক স্কাউট ' নামে স্বেচ্ছাসেবক দিয়ে কাজ করার চিন্তাভাবনা করছে ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগ।
প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিজস্ব বাস চালুর প্রয়োজনীয়তার কথাও উঠে এসেছে তাদের সমন্বয় সভায়।
শনিবার মোহাম্মদপুরে বিভাগ কার্যালয়ে এই সভায় ১৬টি বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা ছাড়াও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় উঠে আসে, মোহাম্মদপুরে আসাদ অ্যাভিনিউয়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থাকায় ক্লাস শুরু এবং ছুটির সময় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে অফিসগামীরা ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়ে।
প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনের সামনে রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজকে কেন্দ্র করেও যানজটের সৃষ্টি হয়।
সভায় উপস্থিত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনপর ৩২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ হাসান নূর ইসলাম রাস্টন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আলোচনার পর রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের ভেতরে এখন গাড়ি রাখা যাচ্ছে। ফলে ওই এলাকায় যানজট বেশ নিয়ন্ত্রণে এসেছে। অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে জায়গা না থাকায় বিকল্প হিসাবে কী করা যায় তা নিয়ে সভায় অনেকেই মত দিয়েছেন।”
সভার প্রধান ঢাকা তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগের উপকমিশনার মোস্তাক আহমেদ বলেন, “নিজস্ব গাড়িতে করে আসা শিক্ষার্থীদের নামানোর সময় বেশ সময় নেওয়া হয়। চালকরা গাড়ি বন্ধ করে বাইরে এসে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবককে নামিয়ে দেন। অনেক সময় স্কুলের গেট পর্যন্ত এগিয়ে দেন। এই সময়টাতে পেছনের গাড়িগুলো আটকে যায়। এতে যানজটের সৃষ্টি হয়।
“এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য 'ট্রাফিক স্কাউট' বিষয়টি মাথায় আসে এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে এই 'ট্রাফিক স্কাউট' গঠন করা যায়।”
এই স্কাউট সদস্যরা কী করবেন, সে প্রশ্নে পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “তারা গাড়িতে আসা শিক্ষার্থীদের নামিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঢুকিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব পালন করবে। এতে চালক বা অভিভাবককে নামার প্রয়োজন পড়বে না।”
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর নিজস্ব পরিবহন রাখার বিষয়ে আলোচনার বিষয়ে তিনি বলেন, “এতে একটি বাসে অনেক শিক্ষার্থী থাকার সুযোগ পাবে। আবার কেউ নিজস্ব গাড়ির পরিবর্তে তার সন্তানকে বাসে দিতে উৎসাহিত হবেন।”
এসব বিষয়ে পর্যায়ক্রমে প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুতই একটি সিদ্ধান্তে আসার কথাও বলেন পুলিশ কর্মকর্তা।
কাউন্সিলর রাস্টন জানান, সবার সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর কেউ না মানলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়েও সভায় গুরুত্ব দেওয়া হয়।