এই পুরস্কারের জন্য ‘মনোনয়ন প্রক্রিয়া সংস্কারের সময় এসেছে’ বলেও মনে করছেন তিনি।
Published : 24 Jan 2025, 10:45 PM
এ বছর বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারের পাওয়া লেখকদের তালিকায় কোনো নারী লেখক না থাকার বিষয়টি তুলে ধরে এটিকে ‘বিস্ময়কর’ বলে মন্তব্য করেছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
এই পুরস্কারের জন্য ‘মনোনয়ন প্রক্রিয়া সংস্কারের সময় এসেছে’ বলেও মনে করছেন তিনি।
তালিকায় কোনো নারীর নাম না থাকায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই পোস্ট করে সমালোচনা করছেন।
বিষয়টিকে পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার প্রকাশ বলেও মনে করছেন অনেকে। সেই সমালোচনায় যোগ দিলেন সংস্কৃতি উপদেষ্টাও।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ফারুকী ফেইসবুকে লেখেন, “বাংলা একাডেমি পুরস্কারের সাথে মন্ত্রণালয় বা আমার ব্যক্তিগত কোনো সম্পর্ক নাই। আমাদের সরাসরি ভূমিকা আছে একুশে পদকের ক্ষেত্রে।
“তারপরও মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত হিসেবে আমি এই পুরস্কার নিয়ে যে সমালোচনাগুলো হচ্ছে সেটা গ্রহণ করছি।”
তিনি লিখেছেন, “একজন নারী লেখককেও খুঁজে না পাওয়া বিস্ময়কর। কিছু ক্যাটাগরিতে যে প্রশ্ন উঠেছে সেগুলোও অযৌক্তিক না। সময় এসেছে, এই পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন প্রক্রিয়া সংস্কারের।
“একই সাথে একাডেমিকে একটা বিশেষ গোষ্ঠীর মিলনমেলা না বানিয়ে কি করে ইনক্লুসিভ করা যায়, কি করে তরুণ মেধাকে এর চালিকাশক্তির অংশ করা যায় সেটা নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে।”
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজমকে ফোন করা হলে তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি।
নাট্য গবেষক সৈয়দ জামিল আহমেদ, প্রাবন্ধিক সলিমুল্লাহ খানসহ দশজন এবার বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পাচ্ছেন।
বাংলা একাডেমির জনসংযোগ বিভাগ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দশটি ক্যাটাগরিতে ২০২৪ সালের পুরস্কারের জন্য তাদের নাম ঘোষণা করে।
কবিতায় মাসুদ খান, কথাসাহিত্যে সেলিম মোরশেদ, নাটক ও নাট্যসাহিত্যে শুভাশিস সিনহা পাচ্ছেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার।
প্রবন্ধ/গদ্যে সলিমুল্লাহ খান, শিশুসাহিত্যে ফারুক নওয়াজ, অনুবাদে জি এইচ হাবীবকে এ পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া গবেষণায় মুহম্মদ শাহজাহান মিয়া, বিজ্ঞানে রেজাউর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধে মোহাম্মদ হাননান এই পুরস্কার পেতে যাচ্ছেন।
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস আনুষ্ঠানিকভাবে এ পুরস্কার দেবেন।
এ পুরস্কারের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বাংলা একাডেমির ওয়েবসাইটে বলা আছে, “বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের সমসাময়িক জীবিত লেখকদের সামগ্রিক মৌলিক অবদান চিহ্নিত করে তাদের সৃজনী প্রতিভাকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে শিক্ষা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করাই বাংলা একাডেমির সাহিত্য পুরস্কার প্রদানের উদ্দেশ্য।"
পুরনো খবর:
সৈয়দ জামিল, সলিমুল্লাহ খানসহ ১০ জন পাচ্ছেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার