২৬ মার্চ ২০২৫, ১১ চৈত্র ১৪৩১
অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসা সরকার নানাভাবে পুরনো ফ্যাসিবাদী কাঠামোর পথেই হাঁটছে। বাংলা একাডেমির সাহিত্য পুরস্কারে হস্তক্ষেপ, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালকের কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগ তারই উদাহরণ।
“বাংলা একাডেমি এবং একাডেমির মহাপরিচালক, নির্বাহী পরিষদের পদগুলোর মর্যাদা ক্ষুণ্ন হওয়ায় নৈতিক কারণে আমার পক্ষে এই পদে দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়।”
মুক্তিযুদ্ধ, কথাসাহিত্য ও শিশুসাহিত্যে এবার কাউকে পুরস্কার না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
“লেখকের বিষয়ে গোয়েন্দা রিপোর্ট এবং তার অতীত রাজনৈতিক পরিচয় বা কার্যক্রম বিবেচনায় আনতে হবে, এমন ধারণা আমাদের কারো চিন্তায় আসেনি। আসা উচিত ছিল হয়ত!”
আমাদের দেশে দুয়েকজন কীর্তিমান মানুষ আছেন, যারা একুশে বা স্বাধীনতা পদকের মতো জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন রীতিমতন জবরদস্তি করে। পুরস্কার পাওয়ার অযোগ্যরা অনেকেই পুরস্কার পেয়েছেন তদবিরের জোরে। তদবির যে প্রকাশ্যে হয় না, বলাবাহুল্য।তবে পুরস্কারের জন্য কারোর নাম ঘোষণা করার পর তা বাতিল বা স্থগিত করাটা গণহেনস্তার সামিল।
“জীবিত লেখকদের মধ্যে আমি বোধ হয় সেই লেখক যে নিজের বিচার-বুদ্ধি অনুসারে চলি। আমি বাংলা একাডেমির এই পুরস্কার বিনীতভাবে প্রত্যাখান করছি।"
গত বৃহস্পতিবার ঘোষণা করা পুরস্কারের তালিকায় থাকা কারও কারও সম্পর্কে ‘কিছু অভিযোগ’ আসায় শনিবার বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার স্থগিত করা হয়।
তিন কর্মদিবসের মধ্যে পুনর্বিবেচনার পর তালিকা ’পুনঃপ্রকাশ’ করবে বাংলা একাডেমি।