কলকাতার পুলিশ সকালে ফোন করে এমপি আনারের বন্ধুকে লাশ উদ্ধারের খবর দিয়েছে।
Published : 22 May 2024, 12:08 PM
কলকাতার নিউ টাউন এলাকার এক ফ্ল্যাটে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার খুন হয়েছেন বলে খবর দিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।
চিকিৎসার জন্য কলকাতায় গিয়ে এই সংসদ সদস্য যে বন্ধুর বাড়িতে উঠেছিলেন, সেই গোপাল বিশ্বাস বুধবার সকালে পুলিশের কাছ থেকে আনারের লাশ উদ্ধারের খবর পান।
আনার নিখোঁজ হওয়ার পর থানায় জিডি করেছিলেন গোপাল বিশ্বাস। বুধবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, ওই জিডির তদন্ত কর্মকর্তা শুভেন্দু গোস্বামী সকালে তাকে ফোন করে আনারের লাশ উদ্ধার করার কথা জানিয়েছেন। কথা বলার জন্য গোপালের বাসায় যাচ্ছেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
গোপাল বিশ্বাস তাৎক্ষণিকভাবে বিস্তারিত তথ্য দিতে না পারলেও কলকাতার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর বলছে, নিউ টাউন এলাকার সঞ্জিভা গার্ডেন নামের বিলাসবহুল একটি অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকে পাওয়া গেছে বাংলাদেশের এ সংসদ সদস্যের লাশ।
কলকাতার দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন তাদের অনলাইন সংস্করণে লিখেছে, ‘খুন করা হয়েছে’ আনোয়ারুল আজীম আনারকে। নিউ টাউন থানার পুলিশ এবং বিধান নগর গোয়েন্দা শাখার পুলিশ ও এইচডিএফ কর্মকর্তারা তদন্তে নেমেছেন। ওই আবাসনের সিসিটিভি ভিডিও তারা খতিয়ে দেখছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকার পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরাও পত্রিকার মাধ্যমে জেনেছি। বিধান নগরের পুলিশ কমিশনার পত্রিকায় বলেছেন, ভাড়া করা একটি বাসায় তার লাশ পাওয়া গেছে। তাদের সঙ্গে আমাদের সরাসরি কোনো কখা হয়নি। আমরা যোগাযোগের চেষ্টা করছি।”
ঝিনাইদহ-৪ আসনের তিনবারের সংসদ সদস্য আনার কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। গত ১১ মে তিনি দর্শনা-গেদে সীমান্ত দিয়ে চিকিৎসার জন্য ভারতে যান।
কলকাতায় পৌঁছে তিনি ওঠেন তার বন্ধু, বরাহনগরের স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে। কিন্তু ১৬ মে থেকে তার সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারছিল না তার পরিবার।
আনার নিখোঁজ জানিয়ে ১৮ মে বরাহনগর থানায় জিডি করেন গোপাল বিশ্বাস। সেখানে বলা হয়, ১৩ মে দুপুরে সেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেননি আনার। তবে তা হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে আসা এক বার্তায় বলা হয়, দিল্লি যাচ্ছেন তিনি।
এদিকে আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডোরিন পরে ঢাকায় গোয়েন্দা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে তার বাবার নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, “সব গভর্নমেন্ট এজেন্সি এটা নিয়ে কাজ করছে। এনএসআই, এসবি, পুলিশ কাজ করছে। ভারতীয় পুলিশের সঙ্গে, ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে এটা নিয়ে কাজ চলছে।”
আর ঢাকার পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, “এখন পর্যন্ত যে তথ্য পাওয়া গেছে তিনি সেখানে (ভারত) প্রতারকের খপ্পড়ে পড়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।”
এদিকে পিএ আব্দুর রউফের মোবাইল ফোনে সংসদ সদস্যের মোবাইল ফোন থেকে গত ১৬ মে একটি ফোন এলেও তিনি ধরতে পারেননি। পরে ফিরতি কল করলে তা কেউ ধরেনি। পরে একটি এসএমএস আসে।
এসএমএস কী লেখা রয়েছ তা না বললেও পুলিশ কমিশনার হাবিবুর বলেন, মেসেজটি দেখে মনে হয়েছে এটি ভুয়া। সংসদ সদস্যের দেওয়া ‘মেসেজ’ নয়।