১৯৬১ সালের একটি অধ্যাদেশের আওতায় ময়মনসিংহে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ) প্রতিষ্ঠিত হয়।
Published : 05 May 2024, 09:13 PM
জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ) প্রতিষ্ঠার ছয় দশক পর এ প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় আইন করতে বিল তোলা হয়েছে জাতীয় সংসদে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী রোববার ‘জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি বিল ২০২৪’ সংসদে তোলেন। পরে বিলটি পরীক্ষা করে ২০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
১৯৬১ সালের একটি অধ্যাদেশের আওতায় ময়মনসিংহে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ) প্রতিষ্ঠিত হয়। এখন এ প্রতিষ্ঠানকে নতুন আইনের অধীনে আনা হচ্ছে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “দ্য গভর্নমেন্ট এডুকেশনাল অ্যান্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউশন অর্ডিন্যান্স ১৯৬১ অনুযায়ী বাংলাদেশে কয়েকটি প্রশিক্ষণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হত। কিন্তু বর্তমানে উক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহ যুগোপযোগী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পৃথক আইন প্রণয়ন করেছে।
“যেমন-জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠাকল্পে প্রণীত আইন। উল্লিখিত অর্ডিন্যান্সে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে গঠিত ১৪ সদস্য বিশিষ্ট বোর্ড অব গভর্নরস সরকারের পূর্বানুমতি ক্রমে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি, ময়মনসিংহ; রেজুলেশন ২০০৪ নামে একটি রেজুলেশন প্রণয়ন করে এবং রেজুলিউশনের প্রদত্ত নির্দেশনা অনুযায়ী বর্তমানে নেপ পরিচালিত হচ্ছে।”
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের জন্য নিয়মতান্ত্রিকভাবে প্রশিক্ষণ পরিচালনা করা ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা একান্ত প্রয়োজন বিধায় নেপের জন্য একটি আইন প্রণয়ন করা সমীচীন।”
নেপ-এর আইন বা বিধি না থাকার কারণে শূন্যপদে জনবল নিয়োগ করা সম্ভব হচ্ছে না জানিয়ে রুমানা আলী বলেন, “বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/সংস্থা/প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরাধীন কর্মকর্তাগণ প্রেষণে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে একাডেমিতে যোগদান করলেও অধিকাংশ কর্মকর্তার গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কাজের অভিজ্ঞতা না থাকায় তাদেরকে একাডেমির মূল কাজে সম্পৃক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে নতুন আইন করা প্রয়োজন।”
গতবছর ৪ সেপ্টেম্বর ‘জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ) আইন, এর খসড়া মন্ত্রিসভার অনুমোদন পায়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ গতবছরের শেষ দিকে এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, নেপ এর কর্মকাণ্ডে গতি আনতে চারটি আঞ্চলিক অফিস স্থাপন করা হবে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও খুলনায় হবে এসব আঞ্চলিক অফিস। নতুন আইন হলেও এসব শাখা খোলার উদ্যোগ নেওয়া হবে।