“৬৩ জেলায় কুচকাওয়াজ আয়োজন ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।”
Published : 16 Mar 2025, 11:22 PM
স্বাধীনতা দিবসে ‘কুচকাওয়াজ’ হবে না—এমন খবর সঠিক নয় বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।
রোববার রাতে কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, “ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ চলমান থাকায় গত কয়েক বছরের মত এবারও ঢাকায় কুচকাওয়াজ আয়োজন সম্ভব হচ্ছে না।
“তবে দেশের বাকি ৬৩ জেলায় যথাযোগ্য মর্যাদায় কুচকাওয়াজ আয়োজন ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।”
এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ডিসিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও বিবৃতিতে বলেছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।
এর আগে দুপুরে ঈদুল ফিতর ও স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা বিষয়ে প্রস্তুতি সভা শেষে স্বরাষ্ট্র সচিব নাসিমুল গনির কাছে জানতে চাওয়া হয়, "১৬ ডিসেম্বর কুচকাওয়াজ হয়নি, ২৬ মার্চেও কি হবে না?"
উত্তরে সচিব বলেন, "এইবারও হচ্ছে না।"
এক সাংবাদিক জানতে চান, "কেন কুচকাওয়াজ হচ্ছে না?"
সচিবের বক্তব্য ছিল, “নরমালি গতবার যেমন হয়নি, এবারও হচ্ছে না। আমরা এখন আছি একটা… প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ওয়ার ফুটিংয়ে আছি, আমরা আনন্দ করার মেজাজে নাই।”
প্রতিবছর ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কুচকাওয়াজ হয়ে থাকে। তবে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরের পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে গত বিজয় দিবসে তা হয়নি।
কারণ হিসেবে তখন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম ইউএনবিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, বিজয় দিবসে কুচকাওয়াজের বদলে হবে বিজয় মেলা।
“আগে যে প্রচলিত কুচকাওয়াজ হত, এতে জনগণের সম্পৃক্ততা থাকত না, সেখানে স্কাউট ও সেচ্ছাসেবকরা থাকত। তার সঙ্গে অন্যান্য বাহিনী থাকত। এতে সরাসরি জনগণের সম্পৃক্ততা ছিল না। এবার শিশু, নারী, পুরুষ সব শ্রেণির জনগণকে সম্পৃক্ত করা হবে।”