পুলিশ বক্স উচ্ছেদে বাধা, ফিরে গেলেন ডিএনসিসি কর্মকর্তারা

ডিএনসিসি বলছে, সেখানে পুলিশ বক্সটি ফুটপাতের উপর সম্প্রসারিত হয়েছিল। পুলিশ বলছে ভিন্ন কথা।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Jan 2023, 04:25 PM
Updated : 24 Jan 2023, 04:25 PM

ঢাকার আসাদ গেইট মোড়ে পুলিশ বক্স উচ্ছেদ করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়ে ফিরতে হয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের।

মঙ্গলবার সকালের এ ঘটনায় ডিএনসিসির কর্মকর্তারা অভিযোগ করেছেন, সেখানে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা বাধা দেওয়ার পাশাপাশি উচ্ছেদ অভিযানে যাওয়া কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দেন।

পুলিশ বলছে, সেখানে নতুন করে কোনো স্থাপনা নির্মাণ হচ্ছিল না। আগের পুলিশ বক্সটি মেরামত করা হচ্ছিল। ডিএনসিসির কর্মকর্তারা পুলিশকে না জানিয়েই সেখানে উচ্ছেদ অভিযানে গিয়েছিলেন।

উচ্ছেদ অভিযানে যাওয়া ডিএনসিসির উপ-প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মফিজুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পুলিশ বক্সটি সড়কের মিডিয়ান এবং ফুটপাতের উপর করা হয়েছে। এতে শহীদ আসাদের ফলকটি আড়ালে পড়ে যাচ্ছে। সেটি উচ্ছেদ করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়তে হয়েছে।

“আমরা সেখানে গেলে কয়েকজন পুলিশ সদস্য বাধা দেয়। পরে তাদের ফোন পেয়ে আরও কয়েকজন পুলিশ সদস্য আসেন। তারা আমাদের সঙ্গে চরম দুর্ব্যবহার করেছেন। আমাদের নামে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করবেন, আমাদের গাড়ি ডাম্পিং করার হুমকি দেন তারা।”

বাধা পেয়ে বিষয়টি নগর সংস্থার আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয় বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অঞ্চল-৫ এর নির্বাহী কর্মকর্তা এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “উচ্ছেদ পরিচালনা আমরা নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবেই করি। আমি কাল সেখানে গিয়েছিলাম। সেটি আজ সকালে উচ্ছেদ করার নির্দেশনা দিয়েছিলাম। তখন পুলিশ বলেনি, এটা তাদের পুলিশ বক্স। আজ সকালে আমাদের কর্মীরা গেলে পুলিশ সদস্যরা বাধা দিয়েছেন।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) শাহেদ আল মাসুদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আসাদ গেইটে নতুন করে কোনো ট্রাফিক বক্স নির্মাণ হয়নি, সংস্কার করা হয়েছে। ওই পুলিশ বক্সটি ফুটপাতের উপর করা হয়নি। সেটা ভাঙতে হলে যথাযথ নিয়মে আসা দরকার ছিল। এ কারণে সেখানে থাকা পুলিশ সদস্যরা এতে বাধা দিয়েছেন।

“এটা ভাঙতে হলে কিছু প্রসিডিউর আছে। এটা ডিএমপি কমিশনার মহোদয়ের নির্দেশে হয়েছে…সরকারি জিনিস ভাঙতে হলে কিছু নিয়মকানুন আছে। এটা নিয়ে মেয়র মহোদয় আমাদের কমিশনার মহোদয়ের সঙ্গে কথা বললেই হয়। এ কারণে আমাদের মাঠপর্যায়ের যারা ছিল, তারা কিছুটা অসন্তোষ দেখিয়েছেন।”