আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রভাবশালী হয়ে উঠা খন্দকার এনায়েত উল্লাহর এনা পরিবহনের কয়েকটি রুট বেদখল হয়ে গেছে।
Published : 20 Aug 2024, 01:13 AM
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের সঙ্গে সঙ্গে দেশের পরিবহন খাতের নিয়ন্ত্রণও পাল্টে গেছে। এক দিনেই দখল হয়ে গেছে বেশিরভাগ টার্মিনাল আর রুট, বাকিগুলোও দখল হওয়ার পথে।
ক্ষমতায় থাকাকালে টানা সাড়ে ১৫ বছর আওয়ামী লীগ সমর্থক ও অনুসারীদের নিয়ন্ত্রণে ছিল আন্তঃজেলা ও নগর পরিবহনের বিভিন্ন রুট, শেখ হাসিনার পতনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর সেই নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে বিএনপির অনুসারীরা।
আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখে পরিবহন খাতে প্রভাব তৈরি করে আলোচনায় আসা খন্দকার এনায়েত উল্লাহ দেশ ছেড়ে গেছেন, তার এনা পরিবহনের রুট বেদখল হয়ে যাচ্ছে, তার ব্যক্তিগত বাসগুলো চলতে পারছে না, এখন তিনি ‘আল্লাহর কাছে’ বিচার দিচ্ছেন।
সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে শুরু হওয়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের জেরে জুলাইয়ের শুরু থেকেই ব্লকেড নামে কর্মসূচির কারণে পরিবহন খাতে মন্দা দেখা দেয়। ১৬ জুলাই থেকে সংঘাত শুরু হলে যান চলাচলে আরও ব্যাঘাত ঘটে। ১৯ জুলাই মধ্যরাত থেকে কারফিউ জারির পর থেকে পরিস্থিতি চলে যায় নিয়ন্ত্রণের বাইরে। আন্দোলনে কত শত গাড়ি পোড়ানো হয়েছে, সেই হিসাবও নেই।
৫ অগাস্ট সরকার পতনের পরও টানা কয়েকদিন সরকারি বেসরকারি স্থাপনা, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, যানবাহন, বাসে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ চলতে থাকে। হামলার শিকার মানুষরা যায় আত্মগোপনে, এর মধ্যে পরিবহন খাতের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে বিএনপির নেতাকর্মীরা।
এনার পতন
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে থেকেই সড়ক পরিবহন খাতের প্রভাবশালী নেতা খন্দকার এনায়েত উল্লাহকে দেখা যায়নি।
বৃহস্পতিবার ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। ওই কমিটির মহাসচিব ছিলেন এনায়েত।
এম এ বাতেনের নেতৃত্বে ৩২ সদস্যের অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঢাকার ইস্কাটন গার্ডেন এলাকায় ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির অফিসেরও দখল নিয়েছেন বিএনপি সমর্থক পরিবহন নেতারা।
৫ অগাস্টের পর খন্দকার এনায়েত উল্লাহর মালিকানাধীন এনা পরিবহনের বাস চলাচল বন্ধ ছিল বেশিরভাগ রুটে। মাঝে কয়েকদিন কিছু রুটে বাস চলাচল করেছে। তবে গত শুক্রবার থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে এনায়েতউল্লাহ বাদে এনার অন্য মালিকদের বাসগুলো ইউনাইটেড নামে চলাচল শুরু হয়।
অন্যান্য রুটে এখন যেসব বাস চলছে সেগুলোও বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন খন্দকার এনায়েত উল্লাহ।
শনিবার সিঙ্গাপুর থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “ময়মনসিংহ রুটে এনা পরিবহনের সবগুলো কাউন্টার দখল করে ফেলা হয়েছে। বাস চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না। এভাবে সবগুলো রুটই হয়ত তারা দখল করে নেবে।”
কারা দখল করছে- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “এ বিষয়ে আর কিছু বলতে চাচ্ছি না, কারা করছে সেটা খোঁজ নিলেই জানতে পারবেন।”
সরকার পতনের আগেই সিঙ্গাপুর চলে যান খন্দকার এনায়েত উল্লাহ। চিকিৎসার জন্য তিনি এখন দেশটিতে অবস্থান করছেন বলে জানিয়েছেন।
এনা পরিবহনের বেশিরভাগ বাস মহাখালী টার্মিনাল থেকে চলাচল করত। তবে সেগুলো মালিক সমিতির নিয়ন্ত্রণে ছিল না। সরকার পরিবর্তনের পরও মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালের নেতৃত্বে তেমন কোনো পরিবর্তন আসেনি।
মহাখালী আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মহাখালী টার্মিনালে কোনো দলের নেতা হিসেবে নয়, পরিবহন ব্যবসায়ীরা নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। এ কারণে এখানে কোনো ঝামেলা হয়নি।
“আমাদের এখানে বিএনপি, আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল করেন এমন পরিবহন মালিকরা আছেন। এ কারণে সরকার পরিবর্তনের পরও আমাদের এখানে কোনো ঝামেলা হয়নি। আর এনার গাড়ির আগে থেকেই আলাদা ব্যবস্থাপনায় ছিল। খন্দকার এনায়েত উল্লাহ আমাদের সমিতির সঙ্গে ছিলেন না।”
সরকার পতনের সঙ্গে সঙ্গে সায়েদাবাদেরও ‘পতন’
৫ অগাস্ট তুমুল গণআন্দোলনের মধ্যে শেখ হাসিনা ভারত চলে যাওয়ার পর থেকে সায়েদাবাদ আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন বিএনপি সমর্থক পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতারা।
পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি আজমল উদ্দিন সবুর, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালামসহ পরিবহন মালিক-শ্রমিক কমিটির আওয়ামী লীগ সমর্থক নেতারা এখনও আত্মগোপনে।
আবুল কালাম রোববার টেলিফোনে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অফিসের তালা ভেঙে দখল করে নিয়েছেন বিএনপিপন্থি পরিবহন ব্যবসায়ীরা।
“আমি আর সায়েদাবাদে যাচ্ছি না, কারণ কে কখন বেয়াদবি করে বসে। পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে যাব। আসলে আমরা পরিবহন লীগ করি, কোনো দল করি না। পরিবহন ব্যবসা করি, পরিবহন মালিকদের জন্য কাজ করি।”
গাবতলীতেও পরিবর্তনের আভাস
ঢাকার বৃহত্তম বাস টার্মিনাল গাবতলী থেকে ছেড়ে যাওয়া দূরপাল্লার বাসের নিয়ন্ত্রণ করে বাংলাদেশ বাস ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। আর স্বল্প দূরত্বের বাসগুলো চলে ঢাকা জেলা যানবাহন শ্রমিক ইউনিয়নের আওতায়।
সরকার পতনের পর গাবতলীতে ঢাকা জেলা যানবাহন শ্রমিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ মটর চালক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. কালু শেখের অফিস ভাঙচুর করা হয়।
ঢাকা জেলা যানবাহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. আব্বাস উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক দ্বীন মোহাম্মদ বুলু সাধারণ সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক আশরাফ আলীসহ আওয়ামী লীগ সমর্থক শ্রমিক নেতারা পলাতক।
টার্মিনালের বিভিন্ন জায়গায় ঢাকা জেলা যানবাহন শ্রমিক ইউনিয়নের একাধিক ব্যানার টানানো হয়েছে। এতে লেখা আছে “কোনো চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসীকে গাবতলী ঢুকতে দেওয়া হবে না।”
এসব ব্যানার টানানো হয়েছে ‘সাধারণ শ্রমিকবৃন্দ’র নাম দিয়ে।
গাবতলীর পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা বলছেন, শ্রমিকদের নেতৃত্ব কারা দেবেন তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় টার্মিনালের বাইরে ছিলেন এমন নেতারা এখন ফিরছেন।
আবদুল ওয়াদুদ নামে একজন পরিবহন শ্রমিক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অনেক আগে থেকে পলাতক, বাইরে ছিল তারা এখন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ব্যানারে জোট হচ্ছেন। মাঝেমধ্যে মিছিল, ঘোরাঘুরি করতেছেন। আপাতত এভাবেই আছে, কারও নামই আসে নাই।”
বাংলাদেশ বাস ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃত্বে এখনও পরিবর্তন না এলেও গাবতলী টার্মিনাল এরইমধ্যে বিএনপিপন্থি পরিবহন ব্যবসায়ী হানিফ পরিবহনের মালিক কফিল উদ্দিন ও তার অনুসারীদের দখলে চলে গেছে।
এই সমিতির বর্তমান চেয়ারম্যান শ্যামলী এসপি পরিবহনের মালিক রমেশ ঘোষ।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পরিবহন মালিক রোববার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কফিল সাহেবকে হটিয়ে উনারা দখল করেছিলেন, উনাকে বিতাড়িত করে দিয়েছিলেন। উনি (কফিল) স্থানীয়, বড় ব্যবসায়ী, আবার নেতৃত্বে আসবেন। উনি এর মধ্যে এসেছিলেন টার্মিনালে, বলে গেছেন দলের নামে কেউ যেন বাড়তি কিছু না করে।”
রমেশ ঘোষ রোববার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা সবাই মিলেই সংগঠন চালাই, এককভাবে এটা কোনো দলীয় সংগঠন নয়।”
পরিবহন মালিকদের নাভিশ্বাস
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সড়ক পরিবহনে ক্ষতির পরিমাণ কত তার সঠিক কোনো তথ্য জানাতে পারেননি পরিবহন মালিকরা।
মহাখালী আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক বলেন, “আন্দোলনের সময় বাস চলাচল বন্ধ থাকায় আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। মহাখালী টার্মিনাল থেকে চলে এমন পাঁচটি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে।
“গাড়ি চললে স্টাফদের ইনকাম। বন্ধের সময় আমাদের চালক, হেল্পারদের খোরাকির টাকা দিতে হয়েছে। তারা তো আর না খেয়ে থাকতে পারবে না। এভাবে প্রতি গাড়িতে ১৫ দিনে ৩০ হাজার টাকা দিতে হয়েছে। সব খরচ বাদ দিয়ে প্রতি গাড়িতে দৈনিক চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা আয় হয়। গাড়ি বন্ধ থাকায় সেটি হয়নি। আমরা দুই দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।”
বাংলাদেশ বাস ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান রমেশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, “আমাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে এটা এই মুহূর্তে টাকার অঙ্কে নির্ণয় করা সময়সাপেক্ষ। গাড়ি বন্ধ থাকলে চালক, হেলপার, সুপারভাইজারকে বেতন দিতে হয়। তাই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হিসাব করা যাবে না।”
চাঁদা নেই, কিন্তু কতদিন
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর সড়কে চাঁদাবাজি কমেছে বলে জানিয়েছে মালিক, শ্রমিকরা। তবে এটা দীর্ঘস্থায়ী হবে কি না তা নিয়েও তাদের মনে সংশয় রয়েছে।
মিরপুরের ভাসানটেক থেকে ১৪ নম্বর হয়ে মিরপুর ১ নম্বর পর্যন্ত ফার্স্ট টেন পরিবহনের ৪৫টি মিনিবাস চলে। আগে প্রতিটি গাড়ি থেকে দিনে ৫০০ টাকা করে চাঁদা দিতে হত। তবে যারা চাঁদা তুলত, তারা এখন এলাকায় নেই। ফলে আপাত স্বস্তিতে আছে পরিবহন মালিকরা।
মিরপুর ১০ নম্বরে ইমরান হোসেন নামে একজন পরিবহন শ্রমিক বলেন, “রোডে গাড়ি চালাইতে হইলে চান্দা দিতেই হয়। কিন্তু আগের লোকজন পালাইছে, এখন কেউ চান্দা নেয় না। তবে যাত্রী সব নিয়া যায় ব্যাটারি রিকশায়, এ জন্য চান্দা কমলেও খুব লাভ হয় নাই।”
মিরপুরের দিয়াবাড়ী থেকে ১ নম্বর পর্যন্ত চলাচলকারী একটি হিউম্যান হলারের চালক আশরাফ উদ্দিনও বলেন, এখন টাকা দিতে হচ্ছে না।
তিনি বলেন, “আগে দিনে ২০০ টাকা নিত দিয়াবাড়িতে, আবার ২০০ টাকা নিত এক নম্বর গোলচত্বরে। এখন কাউরে কোনো টাকা দেই না।”
তবে গাবতলী থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত চলাচলকারী বসুমতি পরিবহনের বাসে এখনো চাঁদা দিতে হচ্ছে।
শামীম আহমেদ নামে একজন চালক রোববার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অন্য পরিবহন থেকে নেয় কিনা জানি না। কিন্তু আমরা প্রতি ট্রিপে সাত জায়গায় ১০ টাকা করে ৭০ টাকা চাঁদা দেই। সকালে গাবতলী বাসস্ট্যান্ডে এইটা নিয়া ক্যাচাল হইছে। আমরা বলছি এখন চান্দা নাই, তাদের কেন দিমু। পরে মালিকরা কয় দিতে।”
আমিনবাজার ট্রাক টার্মিনালের কয়েকজন চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মহাসড়কে ট্রাকের চাঁদা নেই এখন।
আমিনুল ইসলাম নামে এক চালক শনিবার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর থেকে ঢাকায় এসেছেন, পথে কেউ টাকা তোলেনি।
“আমার গাড়িতে ভারী মালামাল লোড করি। এখান থেকে যাওয়ার সময় সিঙ্গাইরে ওজন স্কেলে প্রতিবার ২ হাজার টাকা করে দিতে হইত। অন্যান্য চান্দা ছিল আরও এক হাজার। তবে এখন কোনো চান্দা নাই।”
সিলেট থেকে ট্রাকে টাইলস পরিবহন করেন আমিনুল ইসলাম। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আগে ৩০০-৪০০ টাকা দেওয়া লাগত চান্দা। এখন দিতে হয় না। আমরা আসলে একটু শান্তিতে গাড়ি চালাইতে চাই, কিন্তু এমন কয়দিন থাকে বুঝতে পারছি না।”
ঢাকার একটি পরিবহন কোম্পানির একজন ব্যবস্থাপক রোববার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সড়কে চাঁদার একটা বড় অংশ দিতে হয় পুলিশকে। ৫ অগাস্টের পর পুলিশকে কোনো চাঁদা দিতে হচ্ছে না।
“আমরা সবচেয়ে বড় শান্তিতে আছি এখন পুলিশকে টাকা দিতে হয় না। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় পাওয়া। আমার কোম্পানির জন্য মাসে ট্রাফিক পুলিশকে ৫ লাখ টাকা করে দিতে হত। পরিবহন মালিকরা এভাবেই রুগ্ণ হয়ে গেছি। তারা চাঁদাবাজি না করলে যাত্রীসেবা মান বাড়ানো সম্ভব, মালিকরাও ব্যবসা করতে পারবে।”