ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনে তিনটি দাবি তুলে ধরেন তারা।
Published : 08 Sep 2024, 09:42 PM
বিগত সরকারের আমলে চাকরিচ্যুত সেনাসদস্যরা বকেয়া বেতন-ভাতাসহ চাকরি পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন।
রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘সহযোদ্ধা’ নামে চাকরিচ্যুত সেনাসদস্যদের একটি প্ল্যাটফর্মের ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন করে তারা এ দাবি জানান।
এসময় ৫০ জনের বেশি চাকরিচ্যুত সেনাসদস্য প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে তাদের দাবি দাওয়া তুলে ধরেন।
তাদের অন্য দাবি হল-কারও চাকরি পুনর্বহাল করা সম্ভব না হলে তাকে সরকারি সুবিধাসহ পেনশনের আওতাভুক্ত করা এবং যে বিচার ব্যবস্থায় চাকরিচ্যুত করা হয়েছে সেটির সংস্কার করা।
‘সহযোদ্ধা’র প্রধান সমন্বয়ক মো. নাইমুল ইসলামের অভিযোগ, বিগত সরকারের আমলে বিশেষ করে জেনারেল আজিজ আহমেদ সেনাবাহিনী প্রধান থাকাকালে বিভিন্ন বিষয়কে কেন্দ্র করে এবং সেনাসদস্যদের সামান্যতম ভুলত্রুটিকে ইস্যু করে এক তরফা বিচার ব্যবস্থার প্রয়োগে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে শতশত সেনাসদস্যদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। বঞ্চিত করা হয়েছে প্রাপ্য পেনশন থেকেও। এমনকি ক্ষমতার অপব্যবহার করে দেয়া হয়েছে বেসামরিক জেল।
বিনা অপরাধে একাধিক শাস্তি দেওয়া মানবাধিকার লঙ্ঘন মন্তব্য করে তিনি বলেন, নিজ স্ত্রী বা বহিরাগত নারীর মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ, নিজ গ্রামের জমিজমা সংক্রান্ত ভিত্তিহীন অভিযোগ, অনুমতি ব্যতীত বিবাহ অথবা ইউনিট পর্যায়ে সেনাসদস্যদের সামান্যতম ভুল ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত না করে এক তরফা বিচার ব্যবস্থার প্রয়োগে প্রকৃত অপরাধী না হয়েও সেনা সদস্যদের একাধিক শাস্তি পেতে হয়েছে।
তার ভাষ্য, যে সেনাসদস্য বছরের পর বছর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সততা, নিষ্ঠা ও আনুগত্যের সাথে চাকরি করেছে তাকে ফ্যাসিবাদ ও বৈষম্যের ফাঁদে ফেলে সরকারি সকল সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে অন্যায়ভাবে চাকুরিচ্যুত করা হয়।
‘প্রধান সমন্বয়ক নিয়োগকালে যেভাবে যাচাই-বাছাই করা হয় চাকরিচ্যুত করার সময়ও একইভাবে সেনাসদস্যদের অপরাধ যাচাই-বাছাই করার দাবি জানান।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে তারা নিজ নিজ ইউনিটে চাকরি করার ইচ্ছা পোষণ করে তাদের দাবি তিনটি রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা, সেনাবাহিনী প্রধান, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা এবং তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টার কাছে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন। কিন্তু কোনো উত্তর পাননি বলে দাবি করেন তিনি।
মো. দুলাল মৃধা নামে আরেকজন সেনা সদস্য তাকে ‘অপহরণের’ মামলায় জড়িয়ে চাকরিচ্যুত করার অভিযোগ তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সহযোদ্ধা’র সমন্বয়ক মো. আশরাফুল ইসলাম ও মো. বাতেন উদ্দিন ভুঁইয়া।