গত ৫৩ বছরে অনেক রাজনৈতিক আর আর্থসামাজিক উত্থান-পতন দেখেছে বাংলাদেশ; এ বছর জুলাই-অগাস্টের গণঅভ্যুত্থান তাতে যুক্ত করেছে নতুন বাস্তবতা।
Published : 16 Dec 2024, 09:41 AM
ভোরের আলো কেবল ফুটেছে তখন; পৌষের কনকনে শীত উপেক্ষা করে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে এসেছেন হাজারো মানুষ।
পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তির দিন ১৬ ডিসেম্বরে সেখানে যারা এসেছেন, কারও হাতে ফুলের তোড়া, কেউবা এসেছেন মাথায় জাতীয় পতাকা বেঁধে, কারও আবার হাতেই জাতীয় পতাকা।
বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে সোমবার সকাল পৌনে ৭টায় জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এরপর সকাল ৭টায় অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
প্রধান উপদেষ্টা চলে যাওয়ার পর শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, কৃষক-শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি আ স ম আবদুর রব, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম (বীরপ্রতীক), গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রিফাত রশীদসহ বিদেশি কূটনীতিকরা শ্রদ্ধা জানান।
এরপরই সরকারি-বেসরকারি নানা সংগঠন, পেশাজীবী পরিষদ আর জনতার ঢল নামে।
দুই যুগের পাকিস্তানি শাসনের অবসান ঘটিয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিশ্বের মানচিত্রে নতুন দেশ হিসেবে স্থান করে নিয়েছিল যে বাংলাদেশ, তার ৫৩তম বার্ষিকী পালন হচ্ছে সোমবার।
বাঙালির মুক্তি এসেছিল অনেক রক্ত ঝরিয়ে, শোষণ-বঞ্চনা আর যন্ত্রণার শেষে লাখো মানুষের আত্মাহুতি ও বাংলা মায়ের আত্মদানের বিনিময়ে।
সেই স্মৃতি স্মরণে সোমবার সরকারি-বেসরকারি সব ভবনে উড়ছে জাতীয় পতাকা, সাভার স্মৃতিসৌধসহ দেশের সব শহীদ বেদীগুলো ভরে উঠছে শ্রদ্ধার ফুলে।
গত ৫৩ বছরে অনেক রাজনৈতিক আর আর্থসামাজিক উত্থান-পতন দেখেছে বাংলাদেশ; এ বছর জুলাই-অগাস্টের গণঅভ্যুত্থান তাতে যুক্ত করেছে নতুন বাস্তবতা।
মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগ নেই দৃশ্যমান কোনো কর্মসূচিতে, রাষ্ট্রক্ষমতায় গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আসা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার; এমন ভিন্নধর্মী এক প্রেক্ষাপটে একাত্তরে বিজয়ের মাহেন্দ্রক্ষণ উদযাপন করছে জাতি।