“ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ার পরই এগুলো পাঠানো হবে,” বলেন এক কর্মী।
Published : 28 Jan 2025, 01:38 PM
রেলওয়ের রানিং স্টাফদের কর্মবিরতির কারণে কেন্দ্রীয় স্টেশন কমলাপুরে পড়ে আছে পার্সেল।
মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে পার্সেল শাখার সামনে সোফা, চেয়ার, ফ্রিজসহ নানা পণ্য পড়ে আছে। পণ্যের সঙ্গে আসা কেউ কেউ আবার ক্লান্ত হয়ে সেখানেই ঘুমিয়ে পড়েছেন।
পার্সেল শাখার দায়িত্বরত এক কর্মচারী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ট্রেন চলাচল না করায় এই পণ্যগুলো পাঠানো যায়নি। ফলে স্টেশনে পড়ে আছে।
“ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ার পরই এগুলো পাঠানো হবে।”
মূল বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স যোগ করে পেনশন এবং আনুতোষিকের দাবি পূরণ না হওয়ায় মঙ্গলবার থেকে কর্মবিরতি পালন করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতি। তাতে সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
গার্ড, লোকোমাস্টার, সহকারী লোকোমাস্টার, সাব লোকো মাস্টার এবং টিটিইরা রেলের রানিং স্টাফ। ট্রেন চালানোর সঙ্গে সরাসরি জড়িত এসব কর্মীর সংখ্যা ১৭ শর বেশি।
দৈনিক কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টা হলেও রানিং স্টাফদের গড়ে ১৫–১৮ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। সেজন্য তাদের আগে দেওয়া হত বিশেষ আর্থিক সুবিধা, যাকে রেলওয়ের ভাষায় বলা হয় মাইলেজ। মাইলেজ রানিং স্টাফদের বেতনেরই অংশ।
প্রতি ১০০ কিলোমিটার ট্রেন চালালে রানিং স্টাফরা মূল বেতনের এক দিনের বেসিকের সমপরিমাণ টাকা অতিরিক্ত পেতেন। ৮ ঘণ্টায় এক দিনের কর্মদিবস ধরলে রানিং স্টাফদের প্রতি মাসে কাজ দাঁড়ায় আড়াই বা তিন মাসের সমপরিমাণ। তাদের বেতনও সেভাবেই দেওয়া হত।
এ ছাড়া মূল বেতনের হিসাবে অবসরকালীন ভাতা যা হয়, তার সঙ্গে অতিরিক্ত আরও ৭৫ শতাংশ টাকা বেশি দিয়ে তাদের পেনশন দেওয়া হত।
২০২২ সালের জানুয়ারিতে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে রানিং স্টাফদের সেই সুবিধা বাতিল করা হয়। এরপর থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ঐক্য পরিষদে ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন করছে।