“সেনাবাহিনী প্রধান সমতলের পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামে 'শুভ প্রবারণা' ও 'কঠিন চীবরদান' উদযাপন উপলক্ষে আর্থিক ও নিরাপত্তা সহযোগিতা প্রদানের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন,” বলেছে আইএসপিআর।
Published : 10 Oct 2024, 10:13 PM
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা আয়োজনে ‘আর্থিক ও নিরাপত্তা সহযোগিতার’ আশ্বাস দিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের একটি প্রতিনিধি দল সেনাবাহিনী প্রধানের সাথে দেখা করতে গেলে তিনি এই আশ্বাস দেন বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরে (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বুদ্ধ যুগে চার মাসে এক ঋতু গণনা করা হত। তাই আষাঢ়ী পূর্ণিমা থেকে আশ্বিনী পূর্ণিমা পর্যন্ত এই চার মাস সময় বৌদ্ধ পরিভাষায় বর্ষা ঋতু বলা হয়। এই বর্ষা ঋতু প্রবারণা উদযাপনের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়। আশ্বিনী পূর্ণিমার আরেক নাম প্রবারণা পূর্ণিমা। এবার সেই দিনটি পড়েছে ১৬ অক্টোবর।
আইএসপিআরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী উৎসবটি অত্যন্ত ধর্মীয় মর্যাদায় ও ভাবগাম্ভীর্যে উদযাপন করে থাকেন। এ উপলক্ষে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের বৌদ্ধ পল্লী, জনপদ ও বিহারগুলোতে সপ্তাহব্যাপী বিবিধ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়।”
“উৎসব চলাকালে শান্তি-শৃঙ্খলা ও সম্প্রীতির পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে প্রতিনিধি দল সেনাবাহিনী প্রধানের সাথে সাক্ষাৎ করেন। একই সাথে উৎসবে অংশগ্রহণের জন্য সেনাবাহিনী প্রধানকে আমন্ত্রণ জানান।”
আইএসপিআর বলছে, “সেনাবাহিনী প্রধান সমতলের পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামে 'শুভ প্রবারণা' ও 'কঠিন চীবরদান' উদযাপন উপলক্ষে আর্থিক ও নিরাপত্তা সহযোগিতা প্রদানের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। এ ছাড়া ব্যক্তিগতভাবে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামের উৎসবগুলো পালন করার জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সকল কার্যক্রম গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন এবং প্রতিনিধি দলের সদস্যগণকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।"
প্রতিনিধিদলকে সেনাপ্রধান বলেন, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী ‘নিবিড়ভাবে’ কাজ করছে।