বজ্রপাত নিরোধক প্রাণহানি কমাবে?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বজ্রপাতের ‘হটস্পটগুলো’ চিহ্নিত করে বজ্র নিরোধক দণ্ড ও যন্ত্র বসানো গেলে ১০০ মিটার ব্যাসের মধ্যে নিরাপদ থাকা সম্ভব।

মঈনুল হক চৌধুরীবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Sept 2022, 07:34 PM
Updated : 30 Sept 2022, 07:34 PM

সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বজ্রপাতে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় একই পরিবারের পাঁচজনসহ ৯ জনের মৃত্যু হয়; বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘটনাস্থলের আশপাশে বজ্রপাত নিরোধক দণ্ড বা যন্ত্র থাকলে হয়ত এমন প্রাণহানি এড়ানো যেত।

ওই ঘটনার পর উপজেলার উধুনিয়া ও বড় পাঙ্গাসী ইউনিয়নের কাসেমবিলের হাওড়া এলাকায় পরীক্ষামূলকভাবে বজ্র নিরোধক দণ্ড বসানোর কথা জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. উজ্জল হোসেন।

সিরাজগঞ্জের মত ‘হটস্পট’, যেখানে তুলনামুলক বেশি বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে, এমন আরও ১৫ জেলাকে বেছে নিয়ে বজ্রপাতে ক্ষয়ক্ষতি কমানোর চেষ্টা করছে সরকার। সেজন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় ২০২১-২০২২ অর্থবছরে সাড়ে ১৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে।

এ কর্মসূচির আওতায় দেশের ১৫ জেলার ১৩৫ উপজেলায় মোট ৩৩৫টি বজ্রপাত নিরোধক দণ্ড এবং বজ্রপাত নিরোধক যন্ত্র বা লাইটনিং অ্যারেস্টার স্থাপনের কথা রয়েছে।

বাংলাদেশে বজ্রপাতের প্রবণতা ও মৃত্যুহার বিবেচনায় সরকার ২০১৬ সালে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বজ্রপাতকে ‘দুর্যোগ’ ঘোষণা করে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মার্চ-এপ্রিল-মে মাস বজ্রপাতের প্রবণতা বেশি থাকলেও মওসুম পরিবর্তনের কারণে মে-সেপ্টেম্বরেও বজ্রপাত হতে পারে। আর বজ্রপাতের ক্ষয়ক্ষতি প্রশমনে বজ্র নিরোধক দণ্ড বসানো গেলে সেই দণ্ডের অন্তত ১০০ মিটার (৩২৮ ফুট) ব্যাসের মধ্যে নিরাপদ থাকা সম্ভব।

ইতোমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে যেসব জায়গায় বজ্র নিরোধক দণ্ড ও যন্ত্র বসানো হয়েছে, সেগুলোর কাজের অগ্রগ্রতির প্রতিবেদনও আসছে বলে জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আতিকুল হক।

  • ২০১১ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত এক দশকে বাংলাদেশে বজ্রপাতে প্রায় ২,৫৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

  • বেশি বজ্রপাতপ্রবণ ১৫টি জেলায় ২০১৮-২০২১ সালে মারা গেছে ৫৬৭ জন।

  • বজ্রপাতে মৃত্যুর ৯৩ শতাংশই গ্রামাঞ্চলে; এর মধ্যে ৮৬ শতাংশের হয় মৃত্যু উন্মুক্ত স্থানে।

  • প্রতিবছর বজ্রপাতে গড়ে দুই থেকে তিনশ মানুষের প্রাণহানি ঘটে।

  • প্রতিবছর বজ্রপাতে মৃত্যুর বিচারে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম।

বজ্রপাত থেকে মানুষ, প্রাণী, অবকাঠামো, বৈদ্যুতিক স্থাপনা ও যন্ত্রপাতি ইত্যাদির সুরক্ষায় দুর্যোগ ব্যবস্থপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া বিজ্ঞান বিভাগকে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছিল। সেই সমীক্ষা শেষে এ বছরের মার্চে প্রতিবেদন দিয়েছে আবহাওয়া বিজ্ঞান বিভাগ।

হটস্পট

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া বিজ্ঞান বিভাগের সমীক্ষা প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের অধিক বজ্রপাতপ্রবণ ১৫ জেলা হল- নেত্রকোণো, কিশোরগঞ্জ, জামালপুর, ময়মনসিংহ, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, রাজশাহী, নবাবগঞ্জ, পাবনা, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট ও দিনাজপুর।

এসব জেলায় কাজ পরিদর্শন করে বজ্র নিরোধক দণ্ড ও যন্ত্র বসানোর স্থান নির্বাচন সঠিক রয়েছে কিনা, আইওটি সিস্টেম চালুর সুবিধা রয়েছে কিনা, মন্ত্রণালয় যা বলছে তার সঙ্গে মিল রয়েছে কিনা, কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিং এর ‍সুবিধা রয়েছে কিনা এবং কোন কোম্পানির পণ্য ব্যবহার করা হয়েছে- সব যাচাই করে দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থপনা অধিদপ্তর।

বজ্রপাত কেন হয়: আবহাওয়াবিদের মতে, যখন কিউমুলোনিম্বাস মেঘ তৈরি হয়, তখনই বজ্রঝড় হয়ে থাকে। কিউমুলোনিম্বাস মেঘ হচ্ছে খাড়াভাবে সৃষ্টি হওয়া বিশাল আকৃতির পরিচালন মেঘ; যা থেকে শুধু বিদ্যুৎ চমকানো নয়, বজ্রপাত-ভারি বর্ষণ-শিলাবৃষ্টি-দমকা-ঝড়ো হাওয়া এমনকি টর্নেডোও সৃষ্টি হতে পারে। বায়ুমণ্ডলে বাতাসের তাপমাত্রা ভূ-ভাগের উপরিভাগের তুলনায় কম থাকে। এ অবস্থায় বেশ গরম আবহাওয়া দ্রুত উপরে উঠে গেলে আর্দ্র বায়ুর সংস্পর্শ পায়। তখন গরম আবহাওয়া দ্রুত ঠাণ্ডা হওয়ার সময় আলোড়ন সৃষ্টি হয়ে বজ্রমেঘের সৃষ্টি হয়।

কার্যকারিতা দেখার পালা

আবহাওয়া বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তৌহিদা রশীদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বজ্রপাত থেকে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি রোধে দুর্যোগ ব্যবস্থপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় ওই সম্ভাব্যতা যাচাই সমীক্ষা তারা করেছেন। বজ্রপাতপ্রবণ জেলাগুলোতে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম নেওয়ার পাশাপাশি সচেতনতা বৃদ্ধি ও পূর্বাভাস দেওয়ার ব্যবস্থা চালুর সুপারিশ করেছেন তারা।

তিনি বলেন, বজ্রপাত নিরোধক দণ্ড স্থাপন করা গেলে ১০০ মিটার ব্যাসের মধ্যে লাইটনিং অ্যারেস্টার কাজ করবে। আশপাশে যারা থাকে তারা সুরক্ষা পাবেন।

বজ্রপাতের প্রবণতা গত কয়েক বছরে বেড়েছে এবং আগামীতে আরও বাড়বে মন্তব্য করে তৌহিদা রশীদ বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনজনিত আবহাওয়াগত ঘটনাগুলো চরম রূপ নিচ্ছে। বজ্রপাত রোধে লাইটনিং অ্যারেস্টারের সংখ্যা বাড়ানো গেলে এর সুফলও পাওয়া যেতে পারে।”

কিন্তু সবার আগে মানুষের মধ্যে ব্যাপক সচেতনতা বৃদ্ধি প্রয়োজন জানিয়ে তিনি বলেন, “আগাম ও সঠিক পূর্বাভাসের বিষয়টিতে আমরা গুরুত্ব দিতে বলেছি। এ জন্যে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর, সংস্থা ও স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে উদ্যোগ নিতে হবে।”

  • বজ্রনিরোধক দণ্ড: তামা, অ্যালুমিনিয়াম প্রভৃতি ধাতুর বৈদুতিক রোধের মাত্রা অনেক কম, তাই সাধারণত এ ধরনের ধাতু দিয়ে বজ্রনিরোধক দণ্ড তৈরি করা হয়। এটি  উচ্চমাত্রার বিদ্যুৎকে সহজে নিরাপদে মাটিতে পৌঁছানোর সুযোগ করে দেয়। ৩০-৪০ ফুট লম্বা দণ্ডে তিন-চার ইঞ্চি জিআইপি পাইপ এবং তামার তার থাকে।

  • লাইটনিং অ্যারেস্টার: লাইটিং অ্যারেস্টার একটি ডিভাইস, যা বসানো থাকবে বজ্রনিরোধক দণ্ডের ওপর। এর মূল কাজ নির্ধারিত ব্যাসের মধ্যে বজ্রপাত হলে তা টেনে মাটিতে নামিয়ে আনা। এতে মিটারের মতো কাউন্টার রয়েছে, কয়টি বজ্রপাত হল তার হিসাব সেখানে থাকবে। সারাক্ষণ সক্রিয় থাকবে এই যন্ত্র।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আতিকুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণের (টিআর) নীতিমালা সংশোধন করে বজ্রপাত থেকে প্রাণহানি রোধে ১৫টি জেলায় ‘বজ্র নিরোধক দণ্ড, বজ্র নিরোধক যন্ত্র (লাইটনিং অ্যারেস্টার)’ স্থাপনে ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে ১৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে মন্ত্রণালয়।

চলতি বছর মে মাসে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়। জুন মাসে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে ওই অর্থ বরাদ্দ হয়। এ কর্মসূচির আওতায় ১৩৫ উপজেলায় মোট ৩৩৫টি বজ্র নিরোধক দণ্ড ও বজ্র নিরোধক যন্ত্র স্থাপনের কথা রয়েছে।

মহাপরিচালক বলেন, “যতক্ষণ পর্যন্ত ওই পিলারের জায়গায় বা যেখানে স্থাপন করা হয়েছে সেখানে বজ্রপাত না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত কিছুই বোঝা যাবে না। আমরা চেয়েছি কোন কোন জায়গায় সেগুলো স্থাপন করা হয়েছে তা জানানোর জন্যে।

“বজ্রপাত নিরোধক দণ্ড ও যন্ত্র স্থাপন করার পরে প্রাণহানি হলে বোঝা যাবে এটা কার্যকর নয়। প্রাণহানি না হলে বোঝা যাবে সেটি কাজ করছে।”

তিনি বলেন, “মাঠ পর্যায় থেকে আমরা প্রতিবেদন পাচ্ছি। সিরাজগঞ্জের কোন কোন জায়গায় স্থাপন করা হয়েছে, কোন কোন জায়গায় কাজ চলছে, তার অগ্রগতি প্রতিবেদনও হাতে পেলাম। পুরোপুরি সব জায়গায় স্থাপনের পর সব জেলার তথ্য পেলে আমরা বলতে পারব কতটা সুফল পাচ্ছি।”

একটি জেলার চিত্র

সিরাজগঞ্জের সাত উপজেলায় ১৪টি বজ্র নিরোধক যন্ত্র বসানো হয়েছে। এগুলো বসানো হয়েছে ৩০ ফুট উঁচু খুঁটির অগ্রভাগে।

এর মধ্যে চৌহালীতে চারটি; বেলকুচি, উল্লাপাড়া, তাড়াশ, কাজীপুর ও সদর উপজেলায় দুটি করে যন্ত্র বসানো হয়েছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আকতারুজ্জামান জানান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে প্রাথমিকভাবে সিরাজগঞ্জ জেলায় ১৪টি যন্ত্র বরাদ্দ পাওয়া গেছে। সাতটি উপজেলার ঝুঁকিপূর্ণ ও লোকসমাগম বেশি হয়– এমন স্থানে বসানো হয়েছে সেগুলো।

তালগাছ বাদ, হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নিতে চায় সরকার

বজ্রপাত থেকে রক্ষা পেতে সরকার দেশজুড়ে এক কোটি তালগাছ লাগানোর পরিকল্পনা নিয়েছিল; যদিও পরে গত মে মাসে তা বাতিলের কথা জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান।

সেসময় তিনি বলেন, “৩৮ লাখের মত তালগাছ লাগানোর পর দেখা গেল, যত্নের অভাবে মারা যাচ্ছে। তাই এটা বাতিল করে দিয়েছি। আর একটি তালগাছ বড় হতে ৩০ থেকে ৪০ বছর সময় লাগে।”

তালগাছের প্রকল্প বাদ দিয়ে বজ্র নিরোধক দণ্ড ও লাইটনিং অ্যারেস্টার স্থাপনে প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিতে চাইছে মন্ত্রণলায়।

হাওরাঞ্চলের জন্য বজ্রপাত নিরোধক বিশেষ ছাউনি নির্মাণে আলাদা একটি প্রকল্পের প্রস্তাবও একবছর আগেই রয়েছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আতিকুল বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া বিজ্ঞান বিভাগ ইতোমধ্যে একটা ‘ফিজিবিলিটি স্টাডি’ করেছে। সে আলোকে ১৫টি জেলা বাছাই করে বড় পরিসরে একটা প্রকল্প নেওয়ার কাজ চলছে।

“মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাবিত প্রকল্পটি ইতোমধ্যে পাঠানো হয়েছে। পরিকল্পনা কমিশনে সভার পর অগ্রগতি পাব।”

মহাপরিচালক বলেন, “তালগাছ লাগানো প্রকল্প বাতিল নয়, এটা একটা নিয়মিত কর্মসূচি। আমরা তালগাছটাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছি না, লাইটনিং অ্যারেস্টার স্থাপনকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে এখন।”

তবে বিষয়টি ‘সময়সাপেক্ষ’ জানিয়ে তিনি বলেন, টিআর এর আওতায় গ্রামীণ রাস্তাঘাট যেখানে হচ্ছে সেখানে তালগাছ লাগানো হবে।”

বজ্রপাত নিরোধক দণ্ড ও যন্ত্রের ব্যাপারে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ইতোমধ্যে বলেছেন, বজ্রপাতে মৃত্যু কমাতে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং ‘আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেম; চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।

“৪০ মিনিট আগেই মোবাইল অ্যাপে সতর্ক করা যাবে। খোলা জায়গায় যারা থাকবে, তাদের জন্য ছোট করে লাইটনিং সেন্টার ও লাইটনিং অ্যারেস্টার স্থাপন করা হবে। পরীক্ষামূলকভাবে ৪০টি বসানো হয়েছে। ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) অনুমোদন হলে পুরোদমে শুরু করব।”

[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি ইসরাইল হোসেন বাবু]।

আরও পড়ুন

  • বজ্রপাতের ‘হটস্পট’ দেশের মধ্যাঞ্চল

  • উল্লাপাড়ায় বজ্রপাতে ৯ মৃত্যু, শোকে স্তব্ধ দুই গ্রাম

  • বজ্রপাত: ‘তাৎক্ষণিক পূর্বাভাস’ না থাকায় এত প্রাণহানি

  • কোটি তালগাছ লাগানোর পরিকল্পনা বাতিল: প্রতিমন্ত্রী

  • দেশে আড়াই মাসে বজ্রপাতে ১৭৭ মৃত্যু

  • বজ্রপাত কেন হয়?

  • বজ্রপাতে সাবধান

  • ঘূর্ণিঝড়ে কমলেও ক্ষতি বাড়ছে বজ্রপাত-বন্যায়

  • বজ্রপাত নিয়ন্ত্রণে গ্রাউন্ডিং রডের মান নিশ্চিতের নির্দেশ