সিআইডি প্রতিবেদন জমা না দিয়ে ফের সময়ের আবেদন করলে ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী ৬ মে নতুন তারিখ দিয়েছেন।
Published : 25 Feb 2024, 02:50 PM
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির মামলার তদন্তে নতুন কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি।
আগের কর্মকর্তা রায়হান ইসলাম খানের বদলির কারণে তার জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইয়াসিন আবদুল্লাহকে।
এ মামলায় প্রতিবেদন জমা দিতে সিআইডিকে আরও তিন মাস সময় দিয়েছে আদালত। এ নিয়ে ৭৭ তমবার পেছানো হল প্রতিবেদন জমার তারিখ।
এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ ছিল রোববার। কিন্তু সিআইডি প্রতিবেদন জমা না দিয়ে ফের সময়ের আবেদন করলে ঢাকার মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী ৬ মে নতুন তারিখ দেন।
এ মামলার পুরনো তদন্ত কর্মকর্তা রায়হান উদ্দিন খান টেলিফোনে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তদন্ত শেষের দিকে। পুলিশের আরেকটি একটি সংস্থায় যোগ দেওয়ার কারণে আমি ৫/৬ মাস আগে এই মামলার তদন্ত ছেড়ে দিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে মুখোমুখি আলাপ হবে।“
২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি জালিয়াতি করে সুইফট কোডের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। স্থানান্তরিত এসব টাকা ফিলিপিন্সে পাঠানো হয়েছিল।
দেশের অভ্যন্তরেরই কোনো একটি চক্রের সহায়তায় এই অর্থ পাচার হয়েছে বলে তখন ধারণা করেছিলেন সংশ্লিষ্টরা।
পরে ওই বছরের ১৫ মার্চ রাজধানীর মতিঝিল থানায় মামলা করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং বিভাগের যুগ্ম পরিচালক জুবায়ের বিন হুদা; অর্থপাচার প্রতিরোধ আইনের ওই মামলায় সরাসরি কাউকে আসামি করা হয়নি।
মামলাটি তদন্ত করছে সিআইডি। কিন্তু দফায় দফায় সময় নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে পারেনি সংস্থাটি।
এর আগে সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেছিলেন, “তদন্ত মোটামুটি বেশ ভালো একটা পজিশনে আছে। বাংলাদেশ সরকারও চেষ্টা করছে।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের খোয়া যাওয়া ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার ফিলিপিন্সের স্থানীয় মুদ্রা পেসোর আকারে চলে যায় তিনটি ক্যাসিনোতে। এর মধ্যে একটি ক্যাসিনোর মালিকের কাছ থেকে দেড় কোটি ডলার উদ্ধার করে ফিলিপিন্স সরকার বাংলাদেশ সরকারকে বুঝিয়ে দিলেও বাকি ৬ কোটি ৬৪ লাখ ডলার আর পাওয়া যায়নি।
রিজার্ভ চুরির তিন বছর পর ২০১৯ সালে ওই অর্থ উদ্ধারের আশায় নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটন সাদার্ন ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে একটি মামলা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই মামলা খারিজে আবেদন করে আরসিবিসি।
২০২২ সালের এপ্রিলে নিউ ইয়র্কের আদালতে আরসিবিসির বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের মামলাটি খারিজ করে দেয়। রায়ে বলা হয়, ওই মামলা বিচারের ‘পর্যাপ্ত এখতিয়ার’ ওই আদালতের নেই।
এরপর বাংলাদেশ বাংকের পক্ষ থেকে নিউ ইয়র্কের ‘এখতিয়ারভুক্ত’ আদালতে মামলা করা হয় বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল।
পুরনো খবর
রিজার্ভ চুরির মামলায় প্রতিবেদন জমার তারিখ ফের পেছাল
রিজার্ভ চুরি: বিবাদীদের ‘সমঝোতার সুযোগ দিয়েছে’ নিউ ইয়র্কের আদালত