ফতুল্লায় আগুনে দম্পতিসহ দগ্ধ ৫, ঢাকায় ভর্তি

তাদের ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে, যাদের মধ্যে দম্পতির অবস্থা আশংকাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

ঢাকা মেডিকেল প্রতিনিধিনারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Feb 2023, 11:19 AM
Updated : 26 Feb 2023, 11:19 AM

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার রামারবাগ এলাকায় একটি বাসায় আগুনে এক দম্পতিসহ পাঁচজন দগ্ধ হয়েছেন।

রোরবার দুপুরে গ্যাস লাইনের ছিদ্র থেকে সৃষ্ট বিস্ফোরণের পর অগ্নিকাণ্ডে তারা দগ্ধ হন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন স্বজনরা।

দগ্ধ পাঁচজনকেই শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইনিস্টিউটের আবাসিক সার্জন এস এম আইউব হোসেন।

দগ্ধরা হচ্ছেন- মোতালেব গার্মেন্টসের অপারেটর আল আমিন সিকদার (৩০) ও তার স্ত্রী মেট্রো গার্মেন্টসের শ্রমিক সুখী আক্তার (২৫), আলেয়া বেগম (৬৫) ও তার ছেলে জামাল (৪৫) এবং রাজমিস্ত্রী রফিক (৩৫)।

আবাসিক সার্জন আইউব বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, আল আমিনের শরীরের ৯৫ শতাংশ, সুখীর ৯৮ শতাংশ, রফিকের ১২ শতাংশ, আলেয়া ও তার ছেলে জামালের সামান্য পরিমাণ পুড়েছে।

আল আমিনের চাচাতো ভাই আবু রাহাত সবুজ আগুন লাগার বর্ণনা দিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, দ্বিতীয় তলা ভবনের নিচ তলায় তার ভাবি রান্নার কাজ করার সময় গ্যাস লাইন থেকে আগুন লাগার পর বিস্ফোরণ ঘটে।

এতে রান্নার কাজ করার সময় সেখানে থাকা সবাই কম বেশি দগ্ধ হন। এসময় বাসায় রাজমিস্ত্রী রফিক প্লাস্টারের কাজ করছিলেন বলে জানান সবুজ।

পটুয়াখালী সদর উপজেলার বাসিন্দা আল আমিন ফতুল্লায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। তারা বাসা ভাড়া করে থাকেন রামারবাগ এলাকার ওই ভবনে।

আল আমিন ও সুখী দম্পতির একমাত্র ছেলে গ্রামের বাড়িতে থাকে বলে জানান ভাই ও ভাবিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা সবুজ।

আবাসিক সার্জন আইউব জানান, দগ্ধদের মধ্যে দম্পতির অবস্থা আশংকাজনক।

আগুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়া নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের হাজীগঞ্জ ইউনিটের সিনিয়র স্টেশন অফিসার ওবায়দুল ইসলাম জানান, দুপুর দেড়টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। দোতলা ভবনের নিচতলায় রান্নাঘরের পাশে আরেকটি রুমেও আগুন ছড়িয়ে যায়।

তিনি বলেন, “রান্নাঘরের গ্যাস লাইনের কোনো লিকেজ থেকে ঘরের ভেতর গ্যাস জমা হতে পারে বলে ধারণা করছি। তবে তদন্তের পর অগ্নিকান্ডের সঠিক কারণ নিশ্চিত করা যাবে।”

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিজাউল হক দিপু জানান, রান্নাঘরের পাশের ঘরে থাকতেন ওই দম্পতি। রান্নাঘরের গ্যাস লাইনের ছিদ্র থেকে গ্যাস ঘরে জমা হয়েছিল। পরে ঘরে কেউ ম্যাচ বা অন্য কিছুর মাধ্যমে আগুন জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায়।