নতুন জঙ্গিদের সঙ্গে পুরনোরাও মিলছে?

নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, পুরনো জঙ্গিরা সক্রিয় হয়ে উঠতে নতুন দলের ছায়া তৈরির কৌশল বেছে নেয়।

কামাল তালুকদারমঈনুল হক চৌধুরীবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Nov 2022, 10:11 PM
Updated : 24 Nov 2022, 10:11 PM

আদালত চত্বর থেকে দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ায় জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার কেউ জড়িত, এমন তথ্য এখনও না পেলেও নতুন এই জঙ্গি দলের সঙ্গে পুরনো দলগুলোর সদস্যদের যোগাযোগ ঘটছে বলে মনে করা হচ্ছে।

পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট-সিটিটিসির প্রধান মো. আসাদুজ্জামান বলছেন, “জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার অপারেশনের সাথে নতুন জঙ্গি সংগঠনের সংশ্লিষ্টতা এখনও মেলেনি। তবে আনসার আল ইসলামের সাথে নতুন জঙ্গি সংগঠনের যোগসূত্র রয়েছে।”

তার কথার প্রতিধ্বনি তুলে নিরাপত্তা বিশ্লেষক সাবেক সেনা কর্মকর্তা আবদুর রশীদ বলেন, নতুন-পুরনোদের যোগসূত্র স্থাপন জঙ্গিদের পুরনো কৌশল।

ছয় বছর আগে গুলশান হামলার পর ধারাবাহিক অভিযানে জঙ্গি তৎপরতা স্তিমিত হলেও ঢাকার জনাকীর্ণ আদালত চত্বর থেকে গত রোববার মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত দুজনকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় নতুন করে আলোচনায় এসেছে জঙ্গিবাদ।

যাদের ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে, তারা দুজনই নিষিদ্ধ দল আনসার আল ইসলামের সদস্য। এক দশক আগে এই দলটি লেখক, প্রকাশক, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট হত্যাকাণ্ডের বেশ কয়েকটি ঘটনায় জড়িত হিসেবে চিহ্নিত।

মুফতি জসীম উদ্দীন রাহমানী (বর্তমানে কারাবন্দি) নেতৃত্বাধীন আনসারুল্লাহ বাংলা টিম দলটিই পরে আনসার আল ইসলামে রূপান্তরিত হয় বলে গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের ভাষ্য। বলা হচ্ছে, এই দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক।

পলাতক জিয়ার নির্দেশনায় দুই জঙ্গিকে আদালত চত্বর থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল বলে পুলিশের দাবি। জিয়াসহ ওই তিনজনই প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যামামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।

বাংলাদেশে জঙ্গি সংগঠন হিসেবে প্রথম যে দলটির কথা শোনা যায়, সেটা হল হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী (হুজি)। এরপর আলোচনায় আসে জামায়াতুল মুজাহেদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)।

গুলশান হামলার আগে-পরে আল কায়দা এবং আইএসের নামে নানা বার্তা এলেও আন্তর্জাতিক কোনো জঙ্গি গোষ্ঠীর তৎপরতা বাংলাদেশে নেই বলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা দাবি করে আসছিলেন।

ছয় বছর আগে হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলায় যারা জড়িত ছিলেন, তাদেরও জেএমবিরই একটি শাখা হিসেবে চিহ্নিত করে দেশের গোয়েন্দারা, যার নাম তারা দেন ‘নব্য জেএমবি’। এর মধ্যেই নাম আসে আনসার আল ইসলামের।

সম্প্রতি আবার আগের মতো কিছু যুবকের ঘর ছেড়ে যাওয়ার তদন্তে নেমে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সন্ধান পায় র‌্যাব।

সিটিটিসির প্রধান আসাদুজ্জামান বলছেন, আগের সংগঠনগুলোর বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যদের নিয়ে নতুন জঙ্গি সংগঠনটি তৈরি হয়েছে।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের (বিআইপিএসএস) ইনস্টিটিউট অব টেররিজম রিসার্চের প্রধান শাফকাত মুনীর বলেন, “আমাদের গবেষণা ও বিশ্লেষণে দেখেছি, জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর একটা বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তারা সবসময়ই নিজেদের নতুন রূপে সাজানোর চেষ্টা করতে থাকে। যার ফল হিসেবে আমরা নতুন জঙ্গি সংগঠনের আবির্ভাব দেখতে পাই।

“নিজেদের সক্ষমতা বাড়ানো ও মতাদর্শকে আরও বড় জনগোষ্ঠীর মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার আকাঙ্ক্ষা থেকে তারা এটা করে থাকে। তারই অংশ হিসেবে হয়তবা তারা তরুণদের ঘর ছাড়িয়ে জঙ্গি দলে নিয়োগ করা এবং ‘অপারেশনাল অ্যালায়েন্স’ তৈরি করার চেষ্টা তারা করছে।”

২০০০-২০০১ সালে পুলিশ প্রধানের দায়িত্বে থাকা মুহাম্মদ নূরুল হুদা বলেন, “তারা (জঙ্গিরা) যে কিছু করার চেষ্টা করছে, এটা তো বোঝা গেল। বিভিন্ন গ্রুপের যারা এ ধরনের তৎপরতায় বিশ্বাসী, তারা এসবে যুক্ত।”

দলীয় সদস্যদের ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনাটিকে আত্মগোপনে থাকা জঙ্গিদের ‘অবস্থান জানান দেওয়ার চেষ্টা’ বলেই মনে করছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আবদুর রশীদের মতে, জঙ্গি সংগঠনগুলো এখন পুনর্গঠিত ও সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে।

“এ চেষ্টা হচ্ছে জঙ্গিবাদের একটা কৌশল। যখন একটা শক্ত প্রতিরোধে পড়ে, তখন তারা গুটিয়ে যায়, আবার প্রতিরোধে ভাটা যখন পড়ে, তখন মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টা করে।”

নতুন জঙ্গি দল কেন হয়?

জঙ্গিদের নতুন দল কেন হয়- তার বিশ্লেষণে নিরাপত্তা বিশ্লেষক আবদুর রশীদ বলেন, “এটার মূল কারণ হল, অতীতের যেসব জঙ্গি সংগঠন ছিল, তাদের আদর্শিক আবেদন হারিয়ে গেছে। তাদের সাংগঠনিক বিচ্ছিন্নতার কারণে সমর্থক ও সক্রিয় সদস্যরা নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে। এটিকে সক্রিয় করার জন্য নতুন এজেন্ডা নিয়ে এবং নতুন কৌশল নিয়ে মাঠে নামে।”

সংগঠনে কোন্দলও নতুন জঙ্গি দলের সৃষ্টি হয় বলে মনে করেন বিসিএলডিএস’র নির্বাহী পরিচালক আবদুর রশীদ। তবে পরিস্থিতির কারণে তাদের আবার এক হয়ে যাওয়ার কথাও বলেন তিনি।

তিনি বলেন, “আদর্শের কথা বললেও মূলত নেতৃত্বের কোন্দল তাদের। নেতৃত্বে থাকার জন্য ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে যায়। সেই বিভক্তি থেকেই আবার যদি শক্ত প্রতিরোধের মুখে পড়ে যখন দেখে একা লড়তে পারছে না, তখন কমন এজেন্ডা তৈরি হয়।”

আবার মদদদাতাদের চাপও এক্ষেত্রে প্রভাব রাখে বলে জানান অবসরপ্রাপ্ত এই মেজর জেনারেল।

“পৃষ্ঠপোষক একই হলে বা অনেক দলকে একই পৃষ্ঠপোষকতা করে তারা চাপ সৃষ্টি করে যে ইউনাইটেড হয়ে আরও স্ট্রং হও। আমরা দেখতে পাই, এ কারণে জঙ্গিরা রিইউনিফাইড হয়। আর পৃষ্ঠপোষক চিহ্নিত করা ও অর্থায়নের উৎস বের করা কঠিন কাজ।”

এখন কেন নতুন সংগঠনের আবির্ভাব ঘটল- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের জঙ্গিবাদ সব সময় অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ঘিরে আবর্তিত হয়। সেক্ষেত্রে আগামী দিনের দেশের রাজনীতি, নির্বাচন রয়েছে; সেখানে জঙ্গি সংগঠনের ব্যবহার হতে পারে- এ আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তারই একটা ধারাবাহিকতা আমরা হয়ত দেখতে পাচ্ছি।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি বিভাগের চেয়ারপার্সন সহযোগী অধ্যাপক খন্দকার ফারজানা রহমান বলেন, “যেহেতু অনলাইনে তাদের রিক্রুটমেন্ট চলছে, আমরা দেখছি- গত জুলাই অগাস্ট থেকে অনেক তরুণ নিখোঁজ হয়েছে। একই সঙ্গে দেখছি-সামনে নির্বাচনের সময়ও আসছে। সবকিছু মিলিয়ে আমার মনে হচ্ছে-বাংলাদেশের দেশপ্রেম বা দেশের মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে তারা এসময়টি ও এ সুযোগটি কাজে লাগিয়ে কিছুটা হলে দেশের পরিস্থিতি, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নষ্ট করার জন্যে এক ধরনের ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।”

নানা ধরনের প্রলোভনে নতুন দলে জঙ্গি ভেড়ানো হয় বলেও জানান আবদুর রশীদ। তিনি বলেন, “এখানে জঙ্গি সংগঠনের লোকদের ধরে রাখতে তাদের কিছু ইনটেনসিভ দিতে হয়। মূলত তারা ইনসেনটিভ দেয়- কীভাবে আরেক জঙ্গিকে আইনি সহায়তা দেওয়া যায়, কেউ মারা গেলে তার পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা করা এবং এরকম মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের যে কোনোভাবে পালাতে সহায়তা করা। এটা যে কোনোভাবে তাদের কমিটমেন্টের অংশ, কৌশল।”

গত দুই বছরে প্রায় ৭০ তরুণ-যুবক ঘর ছেড়েছে, যাদের অনেকেই ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বলে র‌্যবের ধারণা। জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ত এমন ৩৮ জনের তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে অক্টোবরে।

‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র প্রধান হিসেবে শামিন মাহফুজ নামে ঢাকা বিশ্বিবিদ্যালয়ের সাবেক এক শিক্ষার্থীর নাম বলছে র‌্যাব, যিনি ক্যাম্পাস জীবনের বন্ধু নাথান বমের সঙ্গে টাকার বিনিময়ে চুক্তি করে পাহাড়ে প্রশিক্ষণ দিচ্ছিল বলে র‌্যাবের ভাষ্য। নাথান বম পাহাড়ে নতুন সশস্ত্র দল ‘কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট’ বা ‘কেএনএফ’ বা বম পার্টির প্রধান।

সমতলে নাশকতা করে নিরাপদে আশ্রয় নেওয়ার জন্যই এই নতুন জঙ্গি সংগঠন পাহাড়ে অবস্থানের কৌশল নিয়েছে বলে মনে করেন সিটিটিসি প্রধান আসাদুজ্জামান। র‌্যাব ও পুলিশের সিটিটিসি নিখোঁজ যুবকদের মধ্যে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করলেও শামিন মাহফুজ ধরাছোঁয়ার বাইরেই রয়েছে।

Also Read: র‌্যাবের জালে নতুন জঙ্গি দল, কারা এরা?

Also Read: নতুন জঙ্গি দলের ‘পাহাড়ি যোগ’ পেয়েছে র‌্যাব

Also Read: জঙ্গি ছিনতাই: পুলিশের দুর্বলতা না অবহেলা?

আত্মতুষ্টিতে তৈরি হয়েছে ফাঁক-ফোকর?

গুলশান হামলার পর জঙ্গি দমনে অভিযানে সাফল্য এক ধরনের আত্মতুষ্টি তৈরি করেছে বলে তার ফাঁক গলে নতুন জঙ্গি সংগঠন সক্রিয় হওয়ার সুযোগ পেয়েছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আবদুর রশীদ বলেন, “আমাদের এখানে দৃশ্যমান জঙ্গিবাদের অস্তিত্ব না থাকার ফলে আমার মনে হয় নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে একটি আত্মতুষ্টিও কাজ করেছে। তার ফলে অনেকে ঢিলেমি করেই নিরাপত্তার অনেক ফাঁক-ফোকর তৈরি করেছে। সেটাই জঙ্গিরা অনেক দিন ধরে পর্যবেক্ষণ করে হামলা চালিয়ে (জঙ্গি) ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটিয়েছে।”

গুলশান হামলার সময় পুলিশ প্রধানের দায়িত্বে থাকা এ কে এম শহীদুল হকও এমন মত প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, হলি আর্টিজানের ঘটনার পর কোনো জঙ্গি তৎপরতা মাথাচাড়া দিতে পারেনি। প্রায় ৬০-৭০ টা অপারেশন হয়েছে দেশজুড়ে, সেটা পুলিশই করেছে। প্রায় নির্মূলের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিল।

“কিন্তু জঙ্গিদের অনুসারী রয়েছে। তাদের আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব রয়েছে। ওরা একেবারে বিলীন হয়ে যায়নি। পুলিশকে আরও প্রো-অ্যাকটিভ হতে হবে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে আরও তৎপর হতে হবে। এটা রুটিন কাজে নিয়ে গেলে বা গড্ডালিকায় গা ভাসিয়ে দিলে হবে না।”

দমন অভিযানে যেসব জঙ্গি হতাশ হয়ে পড়েছিল, সহযোগীদের ছিনতাইয়ে সফল হয়ে এখন তারা উজ্জীবিত হয়ে উঠতে পারে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেন আবদুর রশীদ।

সাবেক আইজিপি নূরুল হুদা বলেন, “ওরা নির্মূল হয়ে গেছে, কেউ বলেনি। বলেছে, কন্ট্রোলে আছে, দেখছে। এটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।”

জঙ্গিবাদ দমনের প্রথমে ঢাকা মহানগর পুলিশে সিটিটিসি ইউনিট গঠন হলেও বর্তমানে একজন অতিরিক্ত মহাপরিদর্শককে প্রধান করে রয়েছে অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট। প্রায় ছয়শ জনবল নিয়ে গঠিত এই ইউনিটের ডিআইজি রয়েছেন দুজন; আর অতিরিক্ত ডিআইজি রয়েছে ৯ জন।

এটিইউর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিশেষায়িত এই ইউনিট কঠোরভাবে (জঙ্গি কার্যক্রম) মনিটরিং করছে। যে আটটি সংগঠন নিষিদ্ধ হয়েছে, সেখান থেকে কিছু সদস্য নতুনভাবে আত্মপ্রকাশের চেষ্টায় আর কী। আগের চেয়ে সরকারের সব ইউনিট অনেক শক্তিশালী আর মাঠ পর্যায়েও কাজ করছে সবগুলো ইউনিট।”

অপরাধ বিজ্ঞানের শিক্ষক ফারজানা রহমানের মতে, শুধু দমন অভিযানেই হবে না, জঙ্গি তৈরি হতে যেন না পারে, সেক্ষেত্রটা তৈরি করতে হবে।

সিটিটিসির প্রধান আসাদুজ্জামান জানান, জঙ্গিবাদ থেকে ফিরে আসা অর্ধশতজনকে পুনর্বাসন করেছেন তারা।

পুনর্বাসনের ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, “যেমন কারও চাকরির প্রয়োজন ছিল. তাকে চাকরি পেতে সহায়তা করা হয়েছে। কারও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের জন্য কাজ করা হয়েছে। সাজা ভোগ করে যারা জেল থেকে বের হন, তাদেরকে মনিটর করা হচ্ছে, বিভিন্নভাবে মোটিভেট করা হচ্ছে, যাতে এই পথে না যায়।”

র‌্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জঙ্গিবাদ থেকে ফিরে আসা ২০ জনকে তারা পুনর্বাসন করেছেন। তাদের মধ্যে জেএমবির ১২ জন, আনসার আল ইসলামের ৭ জন আর হরকাতুল জিহাদের (হুজি) একজন।