আহত ২২৬ জনের মধ্যে ১৯৯ জনের সহায়তা প্রয়োজন বলে সংবাদ সম্মেলনে বলেছে একটি সংগঠন।
Published : 05 Oct 2024, 11:23 PM
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে সরকার পতনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনকালে রাজধানীর উত্তরায় ২৮ জন নিহত ও ১৯৭ জন আহত হওয়ার তথ্য দিয়েছে একটি সংগঠন।
‘চব্বিশের উত্তরা’ নামে এ সংগঠন শনিবার সকালে উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরে মাইলস্টোন কলেজে সংবাদ সম্মেলন করে এ তালিকা প্রকাশ করে।
তালিকায় থাকা আহতদের মধ্যে গুরুতর চোখের চিকিৎসা দরকার ১৩ জনের এবং বুলেটে আঘাত পাওয়া ৩৪ জনের চিকিৎসার প্রয়োজনের কথা তুলে ধরা হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময়ে রাজধানীর অন্যান্যের চেয়ে উত্তরার বিভিন্ন এলাকায় গণমিছিল, অসহযোগ আন্দোলন, লং মার্চের দিনের মত বিভিন্ন কর্মসূচিতে আন্দোলনকারী ও পুলিশের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আহত ২২৬ জনের মধ্যে ১৯৯ জনের সহায়তা প্রয়োজন এবং ২৮ জনের কোনো সহায়তার প্রয়োজন নেই।
এতে আন্দোলনে ‘শহীদদের‘ যথাযথ মর্যাদা ও আহতদের সুচিকিৎসাসহ যাবতীয় সহযোগিতা নিশ্চিতে এ তালিকা প্রকাশ করার কথা জানায়
সংগঠনটি। পরে তালিকাটি তুলে দেওয়া হয় ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের‘ সাধারণ সম্পাদক ও আন্দোলনের সময় নিহত মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধের বড় ভাই মীর মানবুবুর রহমান স্নিগ্ধের হাতে।
তালিকায় উত্তরা এলাকায় ২৮ জনের মৃত্যু, আহত ১৯৭ জন, নিখোঁজ একজনসহ মোট ২২৬ জনের তথ্য দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ১৮ জুলাই ও ৫ অগাস্ট সবচেয়ে বেশি আহত ও নিহতের ঘটনা ঘটেছে। বিএনএস, আজমপুর ও উত্তরা পূর্ব থানার সামনে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটে।
হতাহতদের মধ্যে ছাত্র ১৯ জন এবং বাকিদের মধ্যে আছেন ছোট ব্যবসায়ী, দর্জি, চালক, নিরাপত্তা কর্মী, রেস্টুরেন্টের কর্মী, শিক্ষক, শ্রমিক, ফল বিক্রেতা, দোকান মালিক, দিনমজুর, গার্মেন্টস শ্রমিকসহ আরও কিছু পেশার মানুষ।
অধিকাংশ নিহত ও আহতরা আঘাত পেয়েছেন মাথা, উরু, চোখ, পা, কোমর ও পাঁজরে। নিহত ও আহতদের উপর ছররাগুলি ছোড়া, পুলিশ ও ছাত্রলীগের লাঠিচার্জ করার দাবি করেছে চব্বিশের উত্তরা নামের সংগঠনটি।
সংগঠনের সদস্য মনীষা মাফরুহা দাবি করেন, “বুলেটে হতাহতের সংখ্যা ১০৯ জন, ছোররা বুলেটে ১০২ জন এবং অন্যান্যভাবে ৩০ জন। নিহতদের মধ্যে ছাত্র রয়েছেন ১৯ জন। আহতদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ১৯৪ জন। ফার্মেসিতে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন ১০ জন ও ক্লিনিকে আটজন।”
তালিকার তথ্য অনুযায়ী, ২০৪ জনের চিকিৎসার কাগজপত্র আছে, ১২ জনের নেই এবং ১১ জন বাসায় চিকিৎসা নিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আন্দোলন পরর্বতী সময়ে আর্থিক সহায়তা দরকার ১৫৭ জনের, আঘাতপ্রাপ্তদের মধ্যে চিকিৎসা দরকার ৮৩ জনের, জীবিকা নির্বাহের সহায়তা দরকার জন্য ৬৪ জনের এবং ২৪ জনের কোনো ধরনের সহায়তা প্রয়োজন নেই। ২২৬ জনের মধ্যে ১৬৪ জন কোনো সহায়তা পাননি বলেও জানানো হয়।