দুদকের উপপরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম বলেছেন, দুদকের গোয়েন্দাদের অনুসন্ধানে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পর এখন প্রকাশ্যে তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
Published : 08 Sep 2024, 06:48 PM
মৌলভীবাজার-৪ আসনের সাবেক এমপি ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী আবদুস শহীদ এবং বগুড়া-৫ আসনের সাবেক এমপি হাবিবুর রহমানের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
তাদের সঙ্গে সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের ব্যক্তিগত সহকারী মো. মাকসুদের অভিযোগও অনুসন্ধান করবে দুদক।
দুদকের উপপরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম রোববার বলেন, দুদকের গোয়েন্দাদের অনুসন্ধানে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পর এখন প্রকাশ্যে তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আবদুস শহীদ ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালে মৌলভীবাজার-৪ (শ্রীমঙ্গল- কমলগঞ্জ) নির্বাচনী আসনে নৌকায় জয় পান। তিনি যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডয়িাম সদস্য ছিলেন এবং চিফ হুইপের দায়িত্বও পালন করেছেন।
দুদক বলছে, সাবেক এই এমপির বিরুদ্ধে ক্ষমতা অপব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন দুর্নীতি, অনিয়মসহ বন বিভাগের জমি দখল করে চা বাগান তৈরি এবং সরকারি আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়া সাবেক এই কৃষিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে রাজধানীসহ বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি, ফ্ল্যাট কেনাসহ স্ত্রী ও সন্তানদের নামে কোটি কোটি টাকার সম্পদের তথ্য এসেছে দুদকের হাতে।
এছাড়াও আবদুস শহীদের স্ত্রীর নামে কানাডার বেগম পাড়ায় বাড়িসহ দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের গড়ে তোলারও অভিযোগ আছে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৫ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন হাবিবুর রহমান। সাবেক এই সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে তার নিজের এবং স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যদের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পদের খোঁজ পেয়েছে দুদক।
অন্যদিকে সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের ব্যক্তিগত সহকারী মাকসুদের বিরুদ্ধে আধিপত্য বিস্তারের মাধ্যমে নিজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নামে কাজ নেওয়া এবং সেইসব কাজ শেষ না করেই বিল তোলার অভিযোগ আছে। এছাড়া বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ এবং মাকসুদের স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের নামে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুদকের গোয়েন্দা দল।