কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা আছে।
Published : 12 Sep 2024, 06:14 PM
দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের নদ-নদীর পানি আগামী তিন দিন বাড়তে পারে বলে আভাস দিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
আবহাওয়া সংস্থাগুলোর বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, দেশে এবং উজানে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে আগামী ৩ দিন চট্টগ্রাম বিভাগের নদীর পানি দ্রুত বাড়তে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর জেলার কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।
বাংলাদেশের উজানে পাহাড়ি ঢল আর অতি ভারি বৃষ্টির কারণে গত ২০ অগাস্ট থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। দ্রুতই তা ছড়িয়ে যায় ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, লক্ষ্মীপুর ও কক্সবাজারে।
এতে অন্তত ৭১ জনের প্রাণহানি হয়েছে, মারা গেছে বিপুল সংখ্যক গবাদিপশু। ফেনী, কুমিল্লা ও নোয়াখালীতেই ৫৬ হাজার ৩৪৯টি গরু-মহিষ ও ছাগল-ভেড়ার মৃত্যু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঘরবাড়ি, উদ্বাস্তু হয়েছেন অনেকেই।
বন্যা ১২টি জেলায় ভয়াবহ হলেও কৃষি মন্ত্রণালয় ৬ সেপ্টেম্বর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ফসলি জমি আক্রান্ত হয়েছে ২৩ জেলার। সবমিলিয়ে কৃষিতে ক্ষতি হয়েছে ৩ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকা।
বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রের বুলেটিন বলছে, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের নদীর পানি স্থিতিশীল আছে। তবে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে আগামী ৩ দিন এ বিভাগের নদীর পানি বাড়তে পারে।
চট্টগ্রাম বিভাগের ফেনী, মুহুরী, হালদা, সাঙ্গু ও মাতামুহুরি নদীর পানি বাড়ছে, অন্যদিকে গোমতী নদীর পানি কমছে।
দেশের বাকি সব প্রধান নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি ধীর গতিতে কমছে, আগামী ৫ দিন এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি ধীর গতিতে কমছে জানিয়ে বুলেটিনে বলা হয়, এ অবস্থা আগামী ৩ দিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে এবং পরবর্তী ২ দিন স্থিতিশীল থাকতে পারে। তবে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
আর রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি ধীর গতিতে কমছে, আগামী ২ দিন এসব নদীর পানি ধীর গতিতে কমতে পারে। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় পানি স্থিতিশীল থাকতে পারে, তবে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
সিলেট বিভাগের সুরমা ও কুশিয়ারাসহ অন্যান্য প্রধান নদী- মনু, সারিগোয়াইন, ধলাই, খোয়াই ইত্যাদির পানি কমছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে।
পরবর্তী ২ দিন সিলেট বিভাগের নদীর পানি স্থিতিশীল থাকতে পারে, তবে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।